নবান্ন উৎসবের আলপনা। —ফাইল চিত্র।
আমন ধান ঘরে ওঠার সময় হয়েছে। কান্দির বহু গ্রামে চাষিরা ইতিমধ্যেই নবান্ন উৎসব পালনে মেতে উঠেছেন। জেলার শস্যগোলা বলে পরিচিত কান্দি মহকুমা। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ওই উৎসব শুরু হয়। চলে বেশ কিছু দিন ধরে।
স্থানীয় বানিন্দাদের দাবি, বহু বছর আগে কান্দিতে বছরে একবার ধান চাষ হত। বছরে একবার ধানের ফলন হওয়ায় নতুন ধান ব্যবহার করার আগে তা থেকে আতপ বানানো হত। তখন থেকেই মাস জুড়ে নবান্ন পালনের রেওয়াজ শুরু হয়েছে। ওই আতপ চাল আগে দেব-দেবীকে অর্পণ করা হয়। তারপর তা খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে কান্দিতে নবান্ন পালনের নির্দিষ্ট কোনও দিন নেই। বাসিন্দারা সকলে একজোট হয় দিন নির্ধারণ করেন। সেই মতোই নবান্ন উৎসব হয়ে থাকে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। নবান্ন উৎসবের দিন সকাল থেকেই গ্রামে সাজো সাজো রব ওঠে। বছরভর চাষ করার পর ওই একটি উৎসব, যা চাষিদের নিজের। নবান্ন উৎসবে গ্রামে মন্দিরে নতুন ধানের আতব দিয়ে পুজো দেওয়া হয়। তারপর ওই প্রসাদ নিয়ে খাবার খাওয়া শুরু হয়। ওই দিন মূলত নতুন ধানের আতপ চাল ঢেঁকি অথবা শিলে গুঁড়ো করা হয়। নবান্ন উৎসবের জন্য চাষিরা খেতের কিছুটা অংশে লঘু, কামিনীভোগ, গোবিন্দভোগ প্রজাতির ধানের চাষ করেন। ওই ধানের ফলন কম কিন্তু সারা বছর ওই ধান থেকে তৈরি হওয়া আতপ দিয়েই দেব-দেবীর পুজো হয়। কান্দির দোহালিয়া কালীমন্দিরের প্রধান সেবায়েত প্রকাশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নবান্ন উৎসব মূলত লোকাচার। নতুন ধানকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করার আগে দেব-দেবীর কাছে অর্পণ করা হয়। তারপর এলাকার মানুষ ওই ধান ব্যবহার করেন। সেটি এখন উৎসবের মাধ্যমে পালিত হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy