বহরমপুর শহর সংলগ্ন বাইপাসের ধার থেকে উদ্ধার হল এক রেস্তরাঁ মালিকের দেহ। খুনের অভিযোগ করেছে পরিবার। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম দিলওয়ার হোসেন। বেলডাঙা থানার ঝুনকার বাসিন্দা দিলওয়ারের একটি রেস্তরাঁ রয়েছে বলরামপুর এলাকায়। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
পরিবারের লোকজনের দাবি, শুক্রবার রাতে রেস্তরাঁ বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন দিলওয়ার। তখন ফোনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। কিন্তু, সেটাই ছিল শেষ কথাবার্তা। গভীর রাতে বাড়িতে খবর আসে যে হাইওয়ের ধার থেকে একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। সেটি শনাক্ত করবার জন্য তাঁদের যেতে হবে। ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। দেখেন দেহটি দিলওয়ারের।
পরিবারের দাবি, রাতে দিলওয়ারের ফোন থেকে অন্য কেউ এক জন ফোন করে জানান যে, তিনি আর বেঁচে নেই। পরিবারের অভিযোগ, এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়। খুন করা হয়েছে দিলওয়ারকে। মৃতের বাবা রসুল শেখ বলেন, “রাত সাড়ে ৯টার সময় আমার কাছে একটি ফোন আসে। ফোন করে বলে একশো টাকা নিয়ে এসো। তার পর আমরা বায়রাগাচি এলাকায় যেখানে আমার ছেলের দোকান রয়েছে, সেখানে গেলাম। গিয়ে দেখি, আমার ছেলে নেই সেখানে। এদিক ওদিক ফোন করে খোঁজ করা শুরু করলাম। একটু দূরেই একটি স্কুলের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল ছেলে।” এর পর দিলওয়ারকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের দাদা রাহুল শেখ বলেন, “ভাই মাথায় হেলমেট পরেছিল। বাইকে যাতায়াত করে। আমার সঙ্গে যখন কথা হয় তখন জানায় যে ওর সঙ্গে ওর ব্যবসার ‘পার্টনার’ও আছে। বাইক দুর্ঘটনা হলেও মাথায় এত গুরুতর আঘাত পাওয়া সম্ভব নয়। আসলে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে ভাইকে।”
বহরমপুর থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে দেহ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দিলওয়ারের সঙ্গে কারও ব্যবসায়িক শত্রুতা ছিল কি না, কিংবা পারিবারিক কোনও বিবাদ ছিল কি না, এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। মৃতের পরিবারের এক সদস্য রেজাউল শেখের দাবি, যে ব্যক্তি দিলওয়ারের ফোন থেকে কল করেছিলেন তিনিই খুনে যুক্ত। তাঁর কথায়, “ওর ফোন থেকে অন্য কেউ ফোন করে ওর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। ফোন করা ওই ব্যক্তি খুনের সঙ্গে যুক্ত বলে আমরা মনে করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy