আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষারত্ন ফেরাচ্ছেন গোলাম মোস্তাফা সরকার। —নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এ বার রাজ্য সরকার প্রদত্ত শিক্ষারত্ন সম্মান ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মুর্শিদাবাদের এক স্কুলশিক্ষক। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে জেলাশাসক এবং স্কুলশিক্ষা দফতরে ইমেল করেছেন বলে জানিয়েছেন হরিহরপাড়া হাজি আলমবক্স সিনিয়র মাদ্রাসার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক গোলাম মোস্তাফা সরকার।
২০১৬ সালে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন গোলাম। স্মারকের সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। এখন সাম্মানিক অর্থমূল্য এবং স্মারক, দুটোই সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, আরজি করের ঘটনায় প্রেক্ষিতে সরকারের ভূমিকায় তিনি সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন, ‘‘আরও বৃহত্তর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জায়গা ছিল। নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে এই পুরস্কার ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়ে দিয়েছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি হালকা হতে চাইছি। আমাদের মেয়ের মতো ওই মহিলা ডাক্তার। ওঁকে ধর্ষণ, খুন করার প্রতিবাদে আমার এই পদক্ষেপ।’’
আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদ এবং বিচার চেয়ে বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন ব্যক্তি রাজ্য সরকারের দেওয়া সম্মান ফিরিয়েছেন। কোনও শিল্পী সরকারি কমিটির পদ ছেড়েছেন। এর আগে বঙ্গরত্ন ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছেন সাহিত্যিক তথা শিক্ষক পরিমল দে। রাজ্য চারুকলা পর্ষদের সদস্যপদ ছেড়েছেন শিল্পী সনাতন দিন্দা। শিক্ষারত্ন ফিরিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার রামশঙ্করপুর হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক দীপক মজুমদার। সংশ্লিষ্ট পুরস্কার ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক অরূপকুমার দাস। বর্তমানে তিনি কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক। ওই তালিকায় নয়া সংযোজন গোলাম মোস্তাফা সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy