—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজির অস্থায়ী বাজার তৈরি করে নিষিদ্ধ বাজি রুখতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। তবে মুর্শিদাবাদে সবুজ বাজির অস্থায়ী বাজার তৈরিতে সাড়া কম ব্যবসায়ীদের। যার জেরে এ বার কালীপুজোয় নিষিদ্ধ বাজি কতটা রুখতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, ব্লকে ব্লকে একটি করে পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজির অস্থায়ী বাজার তৈরি করতে উদ্যোগ হয়েছিল। কিন্তু সাগরদদিঘি, জঙ্গিপুর ও ফরাক্কা ছাড়া আর কোথাও পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজির অস্থায়ী বাজার করতে এগিয়ে আসেননি ব্যবসায়ীরা। যার জেরে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার শুধু ওই তিনটি জায়গায় বাজির বাজার হচ্ছে। তবে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার কোথাও সবুজ বাজির বাজার তৈরি হচ্ছে না। ফলে গোপনে অন্য জায়গায় নিষিদ্ধ বাজি মানুষের হাতে চলে আসতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তবে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ‘‘সাগরদিঘি, জঙ্গিপুর ও ফরাক্কায় পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজির অস্থায়ী বাজার তৈরি হচ্ছে। এই তিন জায়গায় বাজির ভাল বাজার বসছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সেই বাজার চলবে। ওই তিনটি এলাকা ছাড়া বাকি এলাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে কেন সাড়া পেলাম না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, অস্থায়ী বাজারের ব্যবসা করার অনুমতির বাইরেও জেলায় আলাদা ভাবে জনা চল্লিশেক ব্যবসায়ী অনলাইনে পরিবেশ বান্ধব বাজি বিক্রির অনুমতি পেয়েছেন। তবে জেলার যা আয়তন সেই সংখ্যা অন্ততপক্ষে ২০০ জন হওয়া উচিত ছিল। ব্যবসায়ীরা কেন এগিয়ে আসছেন না, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
গত বছর ব্লকে ব্লকে পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজির বাজার তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছিল জেলা প্রশাসন। সে বছর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠক করে বাজির বাজার তৈরি করার চেষ্টাও করেছিল। তবে সে বছর পুজোয় বাজির বাজার তৈরিতে সাফল্য পায়নি মুর্শিদাবাদ। এ বছরও প্রশাসন চেষ্টা চালিয়েছে। তবে তিনটি এলাকার বাইরের ব্যবসায়ীরা বাজার তৈরিতে এগিয়ে আসেননি।
মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাজির স্থায়ী লাইসেন্স না দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা আসতে চাইছেন না। অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে এই জেলার ব্যবসায়ীরা এই ধরনের ব্যবসা করতে আগ্রোহী নন।’’
এ বছর দুর্গাপুজোর আগে পুলিশ নিষিদ্ধ বাজি রুখতে তৎপর হয়েছিল। সে সময় বহরমপুরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রায় ১৯০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছিল ৮ জন বাজি ব্যবসায়ীকে। যার জেরে এ বারে সদ্য হয়ে যাওয়া দুর্গাপুজোয় বরাবরের তুলনায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি কম পুড়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ বারে দুর্গাপুজোতেও তুলনায় কম হলেও শব্দবাজি পুড়েছে। কালীপুজোয় নিষিদ্ধ বাজি রুখতে এখন থেকে পদক্ষেপ করতে হবে। নইলে নজরদারির ফাঁক-ফোকর গলে কালীপুজোতেও শব্দবাজি পুড়বে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নজরদারি চালাচ্ছি। নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি করলে পদক্ষেপ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy