কান্দির জলাজমিতে ধৃত পাখি চোরাশিকারি। নিজস্ব চিত্র।
বিগত কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিক ভাবে অভিযোগ তুলে চলেছেন পক্ষীপ্রেমীরা। তার পরেও ছবিটা একটুও বদলায়নি। বন্যপ্রাণ আইন আর সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, শীতের মরসুমের গোড়াতেই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ফের শুরু হয়েছে পাখি চোরাশিকার!
বন্যপ্রাণপ্রেমী সংগঠন 'হিউম্যান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অ্যালায়েন্স লিগ' (হিল)-এর সৌম্যদীপ মণ্ডল এবং অন্য সদস্যদের সহায়তায় কান্দি-১ ব্লকে জাল পেতে পাখি ধরার সময় এমনই এক চোরাশিকারিকে গ্রেফতার করল বন দফতর। বিলকুরুল বিলের অদূরে পল্লিশ্রী গ্রাম থেকে পাখি ধরার জাল এবং পরিযায়ী জলার পাখি উড স্যান্ডপাইপার ও গ্রিন স্যান্ডপাইপার-সহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার সালারে। ভরতপুর থানার পুলিশ ধৃতকে কান্দি আদালতে পেশ করলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
সৌম্যদীপ শনিবার বলেন, ‘‘প্রতি বছরই অক্টোবরের গোড়া থেকে কান্দির বিভিন্ন জলাভূমিতে ইউরোপ এবং উত্তর এশিয়া থেকে পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করে। বন দফতরের নজরদারি এড়িয়ে তাদের শিকার করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে চোরাশিকার চক্র।’’ বন দফতরের কান্দির রেঞ্জ অফিসার অমিতাভ পাল জানিয়েছেন, চোরাশিকার ঠেকাতে সাহাপুর, পাটনি-সহ এলাকার বিভিন্ন জলাভূমিতে নজরদারি শুরু করেছেন তাঁরা। প্রকৃতিপ্রেমীদের থেকে চোরাশিকারিদের তৎপরতার খবর পেলেই বনকর্মীরা দ্রুত পৌঁছে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy