Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

শ্রমিকেরা ফের নিভৃতবাসে

দিন কয়েক আগে মহারাষ্ট্র ও মুম্বই থেকে গ্রামে ফেরেন ৩৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক। গ্রামের বাসিন্দারাই তাঁদের গ্রামের স্কুল বাড়িতে রাখার বন্দোবস্ত করেন।

স্কুলভবনে ফেরা। নিজস্ব চিত্র

স্কুলভবনে ফেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ০৪:৩৪
Share: Save:

কোয়ারান্টিন সেন্টার ছেড়ে ঘরে চলে যাওয়া শ্রমিকদের ফের কোয়রান্টিন সেন্টারে ফেরাল প্রশাসন। শনিবার রাতে কোয়রান্টিন সেন্টার ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ২৮ জন শ্রমিক। হরিহরপাড়া আব্দুলপুর গ্রামের ঘটনা।

দিন কয়েক আগে মহারাষ্ট্র ও মুম্বই থেকে গ্রামে ফেরেন ৩৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক। গ্রামের বাসিন্দারাই তাঁদের গ্রামের স্কুল বাড়িতে রাখার বন্দোবস্ত করেন। তাঁদের দুবেলা খাবারের বন্দোবস্তও করেন গ্রামের বাসিন্দারাই। তবে বেশ কিছু শ্রমিকের পরিবারের লোকেরাও কোয়রান্টিন সেন্টারে খাবার পৌঁছে দিচ্ছিলেন। কিন্তু দু-তিন দিন অতিক্রান্ত না হতেই স্কুল বাড়ির কোয়রান্টিন সেন্টার ছেড়ে একে একে যে যাঁর ঘরে ফিরতে শুরু করেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা।

গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কোয়রান্টিন কেন্দ্র থেকে ঘরে ফেরা শ্রমিকেরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে অবাধে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছিলেন, পাড়ার মোড়ে আড্ডা দেওয়া থেকে শুরু করে বাজারঘাট করতেও শুরু করেন তাঁরা। মহারাষ্ট্র থেকে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের এ হেন আচরণে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ।

সে কথা জানতে পেরেই শনিবার বিকেলে গ্রামে যান ব্লকের প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। তাঁরা কথা বলেন ঘরে ফেরা শ্রমিক, তাঁদের পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে। অবশেষে সকলকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাতেই গ্রামের সকল শ্রমিককে ফের কোয়রান্টিন সেন্টারে নিয়ে আসেন হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ও প্রশাসন।

গ্রামের বাসিন্দা আলহামদু সেখ বলেন, ‘‘১৪ দিন তো দূরের কথা গ্রামে ফেরা শ্রমিকেরা স্কুল বাড়িতে দু-তিন দিন থাকার পরেই বাড়ি ফিরে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে শুরু করেছিলেন। আমরা খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম। অবশেষে প্রশাসন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’

হরিহরপাড়ার বিডিও পূর্ণেন্দু স্যানাল বলেন, ‘‘খবর পেয়েই আমরা গ্রামে গিয়ে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে তাদের ফের স্কুল বাড়িতে রাখার বন্দোবস্ত করেছি। সেখানে তাদের থাকার ক্ষেত্রে যাতে কোনও রকম অসুবিধে না হয় সেদিকে নজর রাখছি।’’ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আজিজুল লস্কর বলছেন, ‘‘সংক্রমণ রুখতে ঘরে ফেরার পরে ১৪ দিন নিভৃতবাস বাধ্যতামূলক। আমরা শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারকে সে বিষয়ে বারংবার সচেতন করছি। কোয়রান্টিন সেন্টারে থাকা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলছেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতন ভাবেই ন্যূনতম ১৪ দিন কোয়রান্টিন সেন্টারে থাকা উচিত।’’ ঘরে ফেরা শ্রমিক লাল্টু শেখ, আনারুল ইসলামরা জানান, স্কুল ভবনেই থাকবেন তাঁরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Hariharapara Migrant Workers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy