—প্রতীকী ছবি।
রুজির টানে গুজরাটে পাড়ি দিয়েছিলেন নদিয়ার মধ্যবয়স্কা গৃহবধূ তামজুরা বিবি (৪৭)। শনিবার রাতে তাঁর পচাগলা দেহ কফিনবন্দি হয়ে ফিরল দেশের বাড়িতে। স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় তামজুরাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। ইতিমধ্যেই মৃত ওই মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে গুজরাত পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে খুনের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার মুরুটিয়া থানা এলাকার মজলিসপুরের বাসিন্দা তামজুরা রুজির টানে দীর্ঘ দিন থেকেই ভিন্রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। দু’বছর আগে দিল্লি থেকে গুজরাতে পাড়ি জমান ওই গৃহবধূ এবং তাঁর স্বামী কালু শেখ। এলাকায় একাধিক অপরাধমূলক কাজে অভিযুক্ত কালু গুজরাতে এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। স্বামী এবং ওই প্রেমিকাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় ওই গৃহবধূকে তিন দিন ঘরে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। তার পর বেশ কয়েক জন স্থানীয় সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে তামজুরাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার।
গুজরাতের শ্রমিক আবাসনে তামজুরার প্রতিবেশী, বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক ডলি কুমারী এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “তিন দিন ধরে ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। শুক্রবার থেকে পচা গন্ধ বেরোতে শুরু করে। পুলিশ এসে দরজা ভাঙতেই মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে ঝামেলা চলছিল দু’জনের মধ্যে।”
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তেহট্টের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) শুভতোষ সরকার বলেন, “গুজরাতে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হওয়া এক মহিলার দেহ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কী ভাবে মৃত্যু, তা তদন্ত করে দেখছে সেখানকার পুলিশ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy