স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে কাজের খোঁজে ভিন্রাজ্যে গিয়েছিলেন যুবক। অন্য দিকে, ছেলের অনুপস্থিতিতে বৌমাকে একাধিক বার ‘কুপ্রস্তাব’ দেওয়ার অভিযোগ প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। স্বামী বাড়িতে নেই। তাই শ্বশুরের এমন আচরণে সম্মতি না দিলেও প্রতিবাদ করতে পারেননি বধূ। তবে স্বামী বাড়ি ফিরতেই সব কথা বলেছিলেন। তার পরেই বাবা-ছেলের যুদ্ধ। তিনি বৌমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন, এই অভিযোগ করতেই ছেলেকে অস্ত্র দিয়ে কোপালেন বাবা। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জিয়াগঞ্জ হাই স্কুল পাড়ার বাসিন্দা পিন্টু শেখ বৃহস্পতিবার ইফতার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর বাবা আইজুল শেখ তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন বলে অভিযোগ। ছেলেকে রাস্তায় এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে পালিয়ে যান তাইজুল। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে তাইজুলকে। যুবকের স্ত্রীর দাবি, শ্বশুর তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। খারাপ ইঙ্গিত দিতেন। স্বামীকে সে সব বলেছিলেন তিনি। তার পরেই শ্বশুর ছেলের উপর আক্রমণ করেছেন। আর জখম যুবক জানান, তাঁর বাবা যে কাজ করেছেন, সেটা কোনও বাবা ভাবতেই পারেন না। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুত্রবধূর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চান তাইজুল।
আক্রান্ত পিন্টুর কথায়, ‘‘আমার বৌকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়েছিল বাবা। আমি বাড়িতে ছিলাম না বলে বৌ ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেনি। আমায় ও জানাতে আমি সোজা বাবাকে বিষয়টা বলি। তার পরেই বাবা আমাকে অস্ত্রের কোপ মেরেছে।’’ পিন্টুর স্ত্রী জানিয়েছেন, শ্বশুরমশাই তাঁকে আগেও ‘কুপ্রস্তাব’ দিয়েছেন। তিনি প্রত্যেক বার ‘না’ বলেছেন। এ বার ছেলে বাড়িতে না থাকার ‘সুযোগ’ নিয়েছেন শ্বশুর। অন্য দিকে পুলিশ জানিয়েছে, এক মহিলা তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে স্বামীকে অস্ত্র নিয়ে আক্রমণের অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
পরিবার সূত্রে খবর, জখম যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তর করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। বর্তমানে ওই যুবকের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।