Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Load shedding

সূর্য ডুবতেই লোডশেডিং! নেপথ্যে কি ব্যাটারিচালিত টোটো? মাঠে নেমে কারণ খুঁজছেন বিদ্যুৎকর্তারা

কেন এত ঘনঘন লোডশেডিং? উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিদ্যুৎকর্তারা দেখতে পেয়েছেন, রাতে জেলার কয়েক হাজার টোটো চার্জে বসানো হচ্ছে। টোটোর ব্যাটারি চার্জ করতে গিয়েই চাপ পড়ছে বিদ্যুৎ সরবরাহে।

— Representative Image

— প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ১৪:৩২
Share: Save:

তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদার জেরে রাত বাড়লে নদিয়ায় শুরু হচ্ছে ঘনঘন লোডশেডিং। অন্ধকারের মধ্যে ঘেমেনেয়ে একশা মানুষ। কিন্তু কেন রাতে এত লোডশেডিং? সেই কারণ খুঁজতে গিয়ে ভিড়মি খাওয়ার অবস্থা বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের। দেখা যাচ্ছে, রাতে জেলার কয়েক হাজার ব্যাটারিচালিত টোটো চার্জ করতে দেওয়া হচ্ছে। সেই অতিরিক্ত চাহিদা সামাল দিতে না পেরে হচ্ছে ঘনঘন ‘পাওয়ার কাট’।

গরমে বিদ্যুৎ না থাকার সমস্যা নতুন কিছু নয়। দিনে দিনে গরম যে রকম বৃদ্ধি পাচ্ছে, লোডশেডিংয়ের দাপটও তেমনই। প্রাথমিক ভাবে, এত ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এসি বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারকে। কিন্তু মাঠে নেমে কারণ খুঁজতে গিয়ে অবাক বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা। বিদ্যুৎ পর্ষদ সূত্রে খবর, নদিয়া উত্তর ডিভিশনের একাধিক সাবস্টেশনে রাত বাড়লেই বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হচ্ছে। নির্দিষ্ট এলাকায় ট্রান্সফর্মারগুলির যে ‘ক্যাপাসিটি’ বা ক্ষমতা রয়েছে, চাহিদা পেরিয়ে যাচ্ছে সেই সীমা। ফলে বিদ্যুৎ থাকছে না। আবার কোথাও বিকল হয়ে পড়ছে ট্রান্সফর্মারই। শুধু তা-ই নয়, পরিষেবা চালু থাকলেও ভোল্টেজ কম জেলার প্রায় সর্বত্র। ঘটনার কারণ সরজমিনে খতিয়ে দেখতে জেলার বিদ্যুৎকর্তাদের একটি কমিটি একাধিক এলাকা পরিদর্শন করে। সেই পরিদর্শক দলটি প্রাথমিক ভাবে মনে করছিল যে, এসি লাগিয়েও অনেকেই বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের কথা ভেবে লোড বৃদ্ধি করতে চান না। সেই জন্যই চাহিদার সঠিক অঙ্ক নির্ধারণ করা যায় না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, এসি নয়, রাত বাড়লে ব্যাটারিচালিত টোটো চার্জে বসানো হচ্ছে। এ জন্য প্রচুর চাপ পড়ছে। চাপ যে পড়ছে তা স্পষ্ট করিমপুরের টোটোচালক অনিল রাজবংশীর কথায়। অনিল বলেন, ‘‘দিনভর টোটো চালাই। রাতে ব্যাটারি চার্জে বসিয়ে দেওয়া হয়। সারারাত চার্জ হয়।’’ একই দাবি আরও কয়েক জন টোটোচালকেরও।

পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কয়েক হাজার টোটো চলাচল করলেও, তাদের কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই, নেই নম্বরপ্লেটও। টোটো চালানোর জন্য চালকদের কোনও লাইসেন্সও বাধ্যতামূলক নয়। এই সুযোগে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে টোটোর সংখ্যা। দুর্ঘটনার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রেও অন্যতম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে হিসাব বহির্ভূত কয়েক হাজার টোটো। বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে টোটোচালকদের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা জরুরি বলে দাবি নদিয়া জেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের।

অন্য বিষয়গুলি:

Toto electricity
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy