জলযান: লালবাগে ‘গঙ্গাবিলাস’। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
বিদেশি পর্যটকেরা ফের মুর্শিদাবাদমুখী হওয়ায় হাসি ফুটেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিমারির জন্য পর পর দু’বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন ব্যবসা। বিধিনিষেধ ওঠার পরে দেশের কিছু পর্যটক এলেও গত দু’বছর মুর্শিদাবাদমুখী হননি বিদেশি পর্যটকেরা। তাই বিলাসবহুল জলযান ‘গঙ্গাবিলাস’-এ এসে বিদেশি পর্যটকেরা শহরের ও শহরের মানুষের প্রশংসা করায় তাঁরা আশা করছেন, এ বার আবার পর্যটনে সুদিন ফিরবে।
‘গঙ্গাবিলাস’-এর যাত্রী পর্যটক পিটার কফম্যান বলে গিয়েছেন, ‘‘মুর্শিদাবাদের মানুষ খুব ভাল। এই শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এখানকার ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্রগুলি, এখানকার লোকনৃত্য আমাদের মন কেড়েছে।’’ মুর্শিদাবাদ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক স্বপনকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কফম্যানের কথা মুখে মুখে প্রচার হলে আরও অনেক পর্যটক আসবেন। বহু মানুষ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। টাঙা-চালক থেকে হোটেল ব্যবসায়ী, সকলেরই তাতে সুদিন ফিরবে।’’
বারাণসী থেকে বিদেশি পর্যটক বোঝাই বিলাসবহুল এই জলযান মুর্শিদাবাদে এসেছে। পর্যটকেরা আজিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ শহর ঘুরে দেখেছেন। স্বপনবাবুর আবেদন, ‘‘এই জাহাজের মতো আরও জাহাজ করে বিদেশি পর্যটকদের যাতে মুর্শিদাবাদে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়, তার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।’’ লালবাগের মহকুমাশাসক সুদীপ ঘোষও বলেন, ‘‘করোনার জেরে দু’বছর বিদেশি পর্যটকদের মুর্শিদাবাদে দেখা যায়নি। এ বার ফের বিদেশি পর্যটক আসতে শুরু করেছেন।’’
রবিবার জিয়াগঞ্জে ভাগীরথীতে নোঙর ফেলে বিদেশি পর্যটক বোঝায় জাহাজ ‘গঙ্গাবিলাস’। সেখান থেকে তাঁরা আজিমগঞ্জে বরানগরের রানি ভবানীর মন্দির ঘুরে দেখেন। পরের দিন সেই জলযান ওয়াসিফ মঞ্জিলের সামনে ভাগীরথীতে নোঙর ফেলে। মুর্শিদাবাদ শহরে আসা অন্য পর্যটকেরা সেই জাহাজের সামনে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তুলছেন। মঙ্গলবার পর্যটকেরা টোটো করে মুর্শিদাবাদের কাঠগোলা বাগান ঘুরতে গিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy