ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ঘিরে পরিকল্পিত চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন সাংসদ খলিলুর রহমান ও ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। শুক্রবার কোথাও কোনও বিক্ষোভের অনুমতি ছিল না। তবু পুলিশের নজরে ছিল সুতি ও শমসেরগঞ্জ। ইমামদের সঙ্গে পুলিশের বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পরে শুক্রবার সুতির বহু মাদ্রাসা ও মসজিদ থেকে ইমামরা হিংসা এড়িয়ে চলার আবেদনও করেন।
সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম ও জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান এই হিংসাত্মক ঘটনার পিছনে পরিকল্পিত চক্রান্তের অভিযোগ তুলে পুলিশকে কড়া ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অন্য দিকে এই ঘটনাকে পুলিশি ব্যর্থতা বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেসের জঙ্গিপুর মহকুমা সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ এখন দুর্বল হয়েছে। ফলে এলাকার দুষ্কৃতীরা প্রশ্রয় পেয়েছে। পুলিশকে এখন আর ভয় করছে না তারা। শাসকদলের জন্যই পুলিশের এই দশা।’’
এরই মধ্যে এ দিন বহরমপুরে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর দলীয় সাংসদ খলিলুর রহমান সম্পর্কে বলেন, ‘‘খলিলুরকে বলব আপনাকে ‘এমপি গিরি’ করতে হবে না। আপনি ব্যবসাদার মানুষ, ব্যবসা করুন। লোকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। আপনার এমপি থাকার দরকার নেই।
আপনি পদত্যাগ করুন, রাজ্যের হজ কমিটির যে চেয়ারম্যান পদে আছেন সেটা থেকেও পদত্যাগ করুন।’’
হুমায়ুন আরও বলেন, ‘‘জঙ্গিপুর জেলার সাংসদ বিধায়ক থেকে শুরু করে সবই তৃণমূলের। সেখানে কেন পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে? সে সব আটকাতে না পেরে পুলিশের দোষ দিলে চলবে না। কেনই বা বিএসএফকে নামতে হচ্ছে। তাই তাঁকে এখনই পদত্যাগ করতে বলেছি।’’
খলিলুর বলেন, ‘‘হুমায়ুন যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত বক্তব্য। আমি ভোটে জিতেছি। তবে আজকে পুলিশ দেরি করেছে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে ঘটনা এড়ানো যেত।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)