— প্রতীকী চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। এই প্রেক্ষিতে নদিয়ার কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক পড়ুয়ার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল সিনিয়র ল্যাব টেকনোলজিস্টের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে খুন হওয়া মহিলা চিকিৎসক কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরে কর্মরত। নির্যাতিতা চিকিৎসক পড়ুয়ার অভিযোগ, নানা অছিলায় তাঁর শরীর ছুঁয়ে নানা অঙ্গভঙ্গি করতেন ওই ল্যাব টেকনোলজিস্ট। নির্যাতিতার দাবি, বার বার একই ঘটনা ঘটায় তিনি বাধ্য হয়ে সমাজমাধ্যমে লেখালেখি করেন। আরজি করের ঘটনা তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ভাবিয়েছি। আবার সাহস জুগিয়েছে এমন দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে। পরে হাসপাতালের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে থানাতেও অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা বলেন, “আমার সঙ্গে অনেকদিন ধরেই এই কাণ্ড ঘটিয়ে চলছে তুহিন (নাম পরিবর্তিত)। আমার শরীরে হাত দিতেন। পেনের খোঁচা দিতেন। ৯ আগস্ট রাতে তা মাত্রা ছাড়ায়। আমি থানায় অভিযোগ জানাই। আমি ওঁর উপযুক্ত শাস্তি চাই।” চিকিৎসক পড়ুয়ার মা বলেন, “আমাকে মেয়ে বলেছিল, ওর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন ওই ব্যক্তি। আমি বলি, বিষয়টি ঠিক নয়। পুলিশে অভিযোগ জানাই আমরা।”
আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে আন্দোলন চলছে। সেই আঁচ পড়েছে কল্যাণীতেও। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে খুন হওয়া চিকিৎসক পড়ুয়া কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজেরই প্রাক্তনী। এই ঘটনা প্রসঙ্গে রানাঘাট পুলিশ জলের সুপার সানি রাজ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy