বাড়ানো হচ্ছে জঙ্গিপুর পুর এলাকা।
রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই এই এলাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠিয়ে দিয়েছে জঙ্গিপুর পুরসভার তৃণমূল বোর্ড। এই প্রস্তাবে রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের সুজাপুর, বাহাদিডাঙা, শ্রীকান্তবাটী জোড়াসাঁকো ও আইলের উপরের কালীমন্দির পাড়া পর্যন্ত এলাকাকে জঙ্গিপুর পুরসভার অন্তর্ভুক্ত করতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে জঙ্গিপুর পুরসভার এলাকা রয়েছে জঙ্গিপুর শহরের ১৩টি ওয়ার্ড ও রঘুনাথগঞ্জ শহরের ৮টি ওয়ার্ড। মোট ২১টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা ১ লক্ষ ৩০ হাজার। ভোটার সংখ্যা ৮০ হাজার। ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জেলার প্রাচীন জঙ্গিপুর পুরসভার বয়স ১৫৬ বছর। বর্তমানে এলাকা ৮.২০ বর্গ কিলোমিটার। নতুন এলাকা অন্তর্ভুক্ত হলে পুরসভার জনসংখ্যা বাড়বে অন্তত ১০ হাজার।
পুরপ্রধান মফিজুল ইসলাম বলেন, “এ বারে পুরসভার এলাকা আরও ২ বর্গকিলোমিটার বাড়াবার প্রস্তাব দেওয়া হয় পুরসভাকে। সেক্ষেত্রে বোর্ডের সভার সিদ্ধান্ত মতো সুজাপুরের ৫টি গ্রামসভার সব ক’টি, আইলের উপর কালীমন্দির, বাহাদিডাঙা, শ্রীকান্তবাটীর জোড়া সাঁকো পর্যন্ত আরও দু’টি গ্রামসভাকে পুরসভার অন্তর্ভুক্ত করতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘নতুন এলাকাগুলি নিয়ে তিনটি ওয়ার্ড করা হতে পারে। বর্তমান ওয়ার্ডগুলির মধ্যে তিন হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে বলে ভাঙা হতে পারে আরও দু’টি ওয়ার্ড। সব মিলিয়ে হতে পারে ২৬টি ওয়ার্ড।”
তিনি বলেন, “এলাকা বাড়লে পুরসভার রাজস্ব আদায়ও অনেকটাই বাড়বে। কারণ বর্তমানে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে বাড়ির কর যৎসামান্য। পুরসভার মধ্যে এলে বাড়ির কর অনেকটা বাড়বে।”
পুরসভার বিরোধী নেতা সিপিএমের সুবীর রায় অবশ্য বলেন, “পুরসভা প্রস্তাব পাঠাল আর রাজ্য সরকার তা মেনে নিল ব্যাপারটা অত সহজ নয়। অতীতেও যে সব এলাকা বিন্যাসের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে তার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ মানা হয়েছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)