কৃষ্ণনগরের বুড়িমার প্রতিমা। — নিজস্ব চিত্র।
কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিসের মোড় থেকে গোলাপট্টি, বৌবাজার থেকে চকের পাড়ার সোনার দোকান হোক বা বড় বিপণি— কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। মানত করে জগদ্ধাত্রীকে সোনার টিপ, টিকলি, নাকের নথ দেন কৃষ্ণনগরবাসী। সে সব কিনতেই তাঁরা ভিড় করেছেন সোনার দোকানে। আর সেই কারণে ‘অকাল ধনতেরস’-এর ভিড় কৃষ্ণনগরের সোনার দোকানগুলিতে।
বছরের পর বছর কৃষ্ণনগরবাসী মানত করে সাধ্য মতো সোনার গয়না দেন জগদ্ধাত্রীকে। সেই সব ছোট গয়না গলিয়ে তৈরি করা হয় বিগ্রহের মুকুট বা গলার হার। সব থেকে বেশি সোনার গয়না রয়েছে কৃষ্ণনগরের ‘বুড়িমা’র। পুজোর উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রতি বছর বুড়িমা যত টিপ পান, তার ওজন প্রায় ৪০০-৫০০ গ্রাম। পিছিয়ে নেই চকের পাড়ার ‘আদি মা’, কলেজ স্ট্রিট বারোয়ারির ‘মেজো মা’, কাঁঠালপোতার ‘ছোট মা’, মালোপাড়ার ‘মা জলেশ্বরী’ও।
জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় কৃষ্ণনগরের সোনার দোকানগুলিতে সোনার বিক্রি বৃদ্ধি পায়। স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের দাবি, এই সময়ে শহরের প্রায় ২০০টি সোনার দোকানে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার কেনাবেচা হয়। কৃষ্ণনগরের এক সোনার দোকানের মালিক রাজেশ্বর সাহা বলেন, ‘‘সোনার দাম বেশি থাকায় এ বছর ধনতেরসে রুপোর জিনিসের চাহিদা ছিল বেশি। তাই জগদ্ধাত্রী পুজোয় বিক্রি নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম। ভক্তদের বিশ্বাস সোনার দামকে হার মানিয়েছে। বেচাকেনাতে আমরা খুব খুশি।’’
কৃষ্ণনগরের চাষাপাড়া বারোয়ারির সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘ প্রতি বছর মানত করে যে টিপ দেন ভক্তেরা, তার ওজন হয় ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম। পরবর্তী কালে সেগুলো গলিয়ে মায়ের ভারী গয়না তৈরি করা হয়।’’
উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর থেকে বুড়িমার দর্শনে এসেছেন রমলা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বছর কয়েক আগে পুজো দেখতে এসে ছেলের চাকরির জন্য মানত করেছিলাম। ঠিক পরের বছর ছেলে একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি পায়। সেই থেকে আসব মনে করছিলাম। এ বার এসেছি মাকে টিকলি এবং টিপ দিতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy