সাত সকালে ভাষা শহিদ আবুল বরকতের মূর্তিতে মালা পরিয়ে রকমারি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উদযাপন শুরু হয় কান্দি মহকুমার সালার থানার কাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবলা গ্রামে। বাবলা গ্রাম হচ্ছে ভাষা শহিদ আবুল বরকতের জন্ম ভিটে। শুক্রবার ওই গ্রামের মাঠে মেলা শুরু হয়েছে। এছাড়াও এ দিন মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন স্কুলে ও কলেজে ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
এ দিন কান্দি রাজ কলেজে ঘটা করে করে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। শহিদ বেদিতে মাল্যদান করা পাশাপাশি আবুল বরকতের মূর্তিতে মালা পড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান ওই কলেজের অধ্যক্ষ সোমা দত্ত থেকে কলেজের অধ্যাপক ও কান্দি পুরসভার পুরপ্রধান জয়দেব ঘটক থেকে কাউন্সিলররা। হাজির ছিলেন কলেজের পড়ুয়ারা। একই সঙ্গে এ দিন সালারের বাবলা গ্রাম কচিকাঁচাদের নিয়ে প্রতিযোগিতা মূলক বসে আঁকো প্রতিযোগিতা থেকে আবৃত্তি, কবিতা, কুইজ, প্রবন্ধ রচনা প্রতিযোগিতা থেকে বরকতের উপর আলোচনা হয়। পরে নৃত্য প্রতিযোগিতা ও সন্ধ্যায় বাউল গানের আসর বসে ওই মেলা প্রাঙ্গণে। টানা তিন দিন ধরে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে রকমারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন পরিষদ। তিন দিন ধরে মেলা চলার পাশাপাশি প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন ওই কমিটির কর্তাব্যক্তিরা। প্রতিযোগিতায় স্থানাধারিকদের পুরস্কৃত করা হবে বলেও জানায়। ওই কমিটির পৃষ্ঠপোষক তথা ভরতপুর ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বাংলা ভাষা আমাদের কাছে আবেগ। আর এই ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে শহিদ হয়েছিল আমাদের এলাকার বাবলা গ্রামের ছেলে আবুল বরকত। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে আমরা এলাকার বাসিন্দা হিসাবে সামান্য কিছু অনুষ্ঠানের মধ্যে দিনটি উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এ বার এলাকার বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে দেখা পাওয়া যায়নি। হুমায়ুন বলেন, “বিধানসভা চলছিল, আমি কলকাতাতেই আছি। আর আজকের দিনে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির জরুরি বৈঠক থাকার কারণে আমি ফিরতে পারিনি। থাকলে আমি অবশ্যই বরকত সাহেবের মূর্তিতে মালা পড়িয়ে শ্রদ্ধা জানাতাম।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)