উদ্ধার হল ১৪০০ বোতল কাশির সিরাপ। আটক করা হয়েছে একটি গাড়ি। গ্রেফতার দু’জন। মঙ্গলবার রাতে নদিয়া সীমান্তে হোগলবেড়িয়া থানার পুলিশ করিমপুর-জলঙ্গি রাজ্য সড়কের কুমরি ৫৫ মাইলে একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ওই সমস্ত কাশির সিরাপ উদ্ধার করে।
তেহট্ট সীমান্ত এলাকা থেকে গত সোমবার এক কেজি একশ গ্রাম ওজনের প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করে বিএসএফ। ঘটনাটি ঘটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের তেহট্টের নাটনা বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায়। গত কয়েকদিনে পর পর এমন ঘটনায় স্থানীয় মানুষের প্রশ্ন, বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও কী ভাবে সক্রিয় পাচারকারীরা!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হোগলবেড়িয়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় ওই এলাকার কোনও না কোনও জায়গা দিয়ে কাশির সিরাপ পাচার হতে পারে। এরপরেই ওসি থানার কর্মীদের নিয়ে এলাকায় টহল দিতে শুরু করেন।
করিমপুর-জলঙ্গি রাজ্য সড়কের কুমরি ৫৫ মাইলে একটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হওয়ায় সেটিতে তল্লাশি চালালে ১৪০০ বোতল কাশির সিরাপ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত দুই পাচারকারী বিপ্লব বিশ্বাস ও অনিমেষ বিশ্বাসকে পুলিশ গ্রেফতার করে। দুজনেরই বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া এলাকার আদিত্যপুর গ্রামে। অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে মাজদিয়া থেকে ওই কাশির সিরাপ মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
তেহট্টের এসডিপিও শুভতোষ সরকার জানাচ্ছেন, পুলিশ সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবার রোধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। ১৪০০ বোতল কাশির সিরাপ উদ্ধার তারই ফল।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)