E-Paper

বিসিকেভি-তে হস্টেল বদল, বসছে ক্যামেরা

বিসিকেভি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ২৩-২৪ সেপ্টেন্বরের মধ্যে স্নাতক স্তরের নতুন পড়ুয়ারা রমনা আবাসের ‘এ’ ব্লকে থাকতে শুরু করবেন। সেই মতোই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রমনা আবাসের এ ব্লক থেকে জগদীশ আবাসের বি ব্লকে যাচ্ছেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রেরা। বুধবার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

রমনা আবাসের এ ব্লক থেকে জগদীশ আবাসের বি ব্লকে যাচ্ছেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রেরা। বুধবার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছবি: অমিত মণ্ডল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০৬
Share
Save

শেষ পর্যন্ত বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিসিকেভি) কর্তৃপক্ষের কড়া মনোভাবের সামনে বিক্ষোভকারী ছাত্রেরা অনড় অবস্থান থেকে সরে এলেন। বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই রমনা আবাসের ‘এ’ ব্লক থেকে তাঁরা জিনিসপত্র নিয়ে জগদীশ আবাসের ‘বি’ ব্লকে সরে গিয়েছেন। অন্য দিকে জগদীশ আবাসের ‘বি’ ব্লকের স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্রেরা ওই আবাসেরই ‘এ’ ব্লকে ফিরেছেন। হস্টেল স্থানান্তরের সময়ে ক্যাম্পাসে পুলিশ উপস্থিত ছিল। বুধবার রাতেও পুলিশ পিকেট থাকছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।

বিসিকেভি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ২৩-২৪ সেপ্টেন্বরের মধ্যে স্নাতক স্তরের নতুন পড়ুয়ারা রমনা আবাসের ‘এ’ ব্লকে থাকতে শুরু করবেন। সেই মতোই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নতুন বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেলের আশপাশে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। নিরাপত্তা রক্ষী বাড়ানো হবে। আধিকারিকরা পালা করে উপাচার্যের বাংলোয় রাতে থেকে পর্যবেক্ষণ চালাবেন। বিসিকেভি-র স্নাতক স্তরের ছাত্রদের জন্য হরিণঘাটার মোহনপুর ক্যাম্পাসে রমনা ও জগদীশ আবাস নামে দু’টি হস্টেল রয়েছে। দু’টিতে ‘এ’ ও ‘বি’ নামে দু’টি করে ব্লক রয়েছে। র‍্যাগিংয়ের আশঙ্কা এড়াতে নতুন পড়ুয়াদের রমনা আবাসের ‘বি’ ব্লকে এবং চতুর্থ বর্ষের ছাত্রদের পাশের ‘এ’ ব্লকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, নবাগতদের সর্বোচ্চ সিনিয়রদের পাশে রাখলে সংঘাতের সম্ভাবনা কম। কিন্তু রমনা আবাসের ‘এ’ ব্লকে থাকা স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের বড় অংশই তা মানতে রাজি ছিলেন না। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিনভর অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। তবে ওই রাতেই আবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাঁদের বুধবারের মধ্যে জগদীশ আবাসের ‘বি’ ব্লকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। জগদীশ আবাসের ‘এ’ ব্লকে থাকা প্রথম বর্ষের ছাত্রেরা আবার কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই ‘বি’ ব্লকে চলে এসেছিলেন। তাঁদেরও ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রের দাবি, হস্টেল সংক্রান্ত এই জটিলতা নিয়ে বেশ কিছু ছাত্রের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন কর্তৃপক্ষ। তাতে ওই ছাত্রেরা চাপে পড়ে যান। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে জগদীশ আবাসের ‘বি’ ব্লকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বুধবার রাত থেকেই জগদীশ আবাসের ‘বি’ ব্লকে তাঁদের খাবার (মিল) চালু করা হয়েছে। তবে ওই ছাত্রদের অভিযোগ, রমনা আবাসে প্রতিটি ঘরে দু’টি করে সিলিং ফ্যান ছিল। কিন্তু এই ‘বি’ ব্লকে ঘরে একটি করে সিলিং ফ্যান, সুইচগুলোও পুরনো। নতুন সুইচ এবং আর একটি করে সিলিং ফ্যান দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা। অনির্বাণ দাস নামে এক ছাত্র বলেন, “বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” উপাচার্য গৌতম সাহা বলেন, “ছাত্রদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সব ধরনের প্রয়াস চালাবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

haringhata

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।