Advertisement
E-Paper

যুবক খুনের ১৬ বছর পর বিচার পেলেন বাবা, ১০ বছরের কারাদণ্ড মূল অভিযুক্তের, সাজা আরও ৬ জনের

বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের কান্দি ফার্স্ট ট্র্যাক আদালতের বিশেষ বিচারক সৌমেন গুপ্ত প্রধান অভিযুক্তের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও বাকি অভিযুক্তদের দু’মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩ ২৩:৪৪
Share
Save

গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় গৃহনির্মাণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে খুন হয়েছিলেন গ্রামীণ শিক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান। সেই খুনের ঘটনায় জড়়িয়ে যায় স্থানীয় সাত যুবকের নাম। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সুজিত মার্জিত (২৪) খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে দোষী সাব্যস্ত করা হল অভিযুক্তদের এক জন গণেশ মণ্ডল। তাঁকে সহযোগিতা করার দায়ে বাকি ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করলেন বিচারক। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের কান্দি ফার্স্ট ট্র্যাক আদালতের বিশেষ বিচারক সৌমেন গুপ্ত প্রধান অভিযুক্তের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও বাকি অভিযুক্তদের দু’মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। বিলম্বে হলেও সুবিচার মেলায় বিচার ব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে নিহত যুবকের পরিবার।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালের ২০ জুন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার মণ্ডলপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় গৃহনির্মাণকে কেন্দ্র করে তৎকালীন গ্রামীণ শিক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান সুজিত স্থানীয় কয়েক জন যুবকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই দিনের মত ঝামেলা মিটে গেলেও ঠিক তার পর দিন অর্থাৎ ২১ জুন দুপুর সাড়ে ৩টের সময় বাড়ি ফেরার পথে সুজিতকে ঘিরে ধরে এলপাথাড়ি আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে গণেশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, ভাঙা কাচের বোতল সুজিতের পেটে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। চিৎকার শুনে স্থানীয়েরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার পর মৃত যুবকের বাবা জগদীশ মার্জিত খরগ্রাম থানায় সাত জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। খড়গ্রাম থানার পুলিশ তদন্তের শুরুতেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৩, ১৪৭, ১৪৮ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের। দীর্ঘ টালবাহানার পর মামলা ফার্স্ট ট্রাক আদালতে স্থানান্তরিত হয়।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন তদন্তকারী আধিকারিক, চিকিৎসক, প্রত্যক্ষদর্শী, অভিযোগকারী মিলিয়ে মোট ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তথ্য প্রমান ও সাক্ষ্যদের বয়ানে ভিত্তিতে বিচারক সৌমেন গুপ্ত এই রায় দেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী সৈকত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিচার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে বিচারক প্রধান অভিযুক্তের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অন্যদের দু’মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।’’ মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে রমেন মার্জিত বলেন, ‘‘বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ছিল। তবে অনেকটা দেরি হয়ে গেল। শেষ অব্দি সুবিচার মেলায় আমরা খুশি।’’

Crime Murder Kandi

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।