আশাবুল মোল্লা। নিজস্ব চিত্র।
গ্রামে ঢুকে গাড়িচালক পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া নেওয়া। নিজেকে অনাথ বলে সহানুভূতি আদায়। স্থানীয় কোনও কিশোরীকে ভালবাসার টোপ দিয়ে ফাঁসানো, তার পর বিয়ে। কিছু দিন শ্বশুরবাড়িতে থাকার পর আচমকা বৌয়ের গয়না নিয়ে বেপাত্তা। আবারও নতুন এলাকায় গিয়ে ভুয়ো পরিচয়ে আধার কার্ড তৈরি করে নেমে পড়তেন ফের বিয়ে করতে। এ ভাবে দু’ডজন বিয়ে করার পর পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ঠগ বর আশাবুল মোল্লা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির প্রতারিত এক যুবতীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযোগে ওই মহিলা জানান, তাঁদের পরিবারের জমানো টাকা ও সোনার সমস্ত গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছেন তাঁর স্বামী। একাধিক মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও ভাবেই যোগাযোগ সম্ভব হয়নি তাঁর সঙ্গে। এর পর থেকেই ওই যুবকের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সাগরদিঘি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় তাঁর কাছে একাধিক সিম কার্ড, ভুয়ো নথি ও কিছু নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কোনও এলাকাতেই বেশি দিন থাকতেন না বছর আঠাশের ওই যুবক। প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করার পর নববধূর গয়না-টাকা নিয়ে চম্পট দিতেন এলাকা থেকে। ভুয়োপরিচয়পত্র দিয়ে সিম কার্ড নেওয়াতে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে জানতে পুলিশকে নাস্তানাবুদ হতে হয়। গ্রেফতারের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২৪ জন মহিলাকে ইতিমধ্যেই বিয়েও করেছেন ধৃত আশাবুল। তাঁর আসল বাড়ি বারাসত থানা এলাকার কাজিপাড়ায়। তাঁর এই কুকীর্তির কথা প্রতিবেশীরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। পুলিশ তাঁর বাড়িতে পৌঁছতেই বিষয়টি জানাজানি হয়।
বৃহস্পতিবার ধৃতকে জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy