—নিজস্ব চিত্র।
রান্নাঘর থেকে স্নানঘর পর্যন্ত শুঁয়োপোকার তাণ্ডব! মশারি টাঙিয়েও রক্ষে নেই, তাতেও বিছানাময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা! শুধু ঘরেই নয়— ঘরের বাইরে রাস্তা, স্কুল, সর্বত্র দখল নিয়েছে হাজারে হাজারে শুঁয়োপোকা। অবস্থা এমনই যে, বাড়িতে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। চিত্রটি নদিয়ার নবদ্বীপ থানার চরব্রহ্মনগর এলাকার।
স্থানীয়দের দাবি, পাট চাষের ফলেই নাকি এই বিপত্তি। বিগত প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে গ্রামে শুঁয়োপোকার উপদ্রব কমার নাম নেই। শুঁয়োপোকাকুলের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত জনজীবন। এমনকি ভাতের হাঁড়িতেও কিলবিল করছে তারা! দিন কয়েক আগে সকালের খাবারের সঙ্গে ভুল করে শুঁয়োপোকা খেয়ে ফেলেছিল এক শিশু। তিন দিন ধরে সংক্রমণে আক্রান্ত সে। এর পরেই অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমেছেন। রবিবার নবদ্বীপ থানার চরমাজদিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান-সহ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধি। শীঘ্রই গ্রামবাসী ও চাষিদের সঙ্গে বসে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। এতে আপাতত শান্ত হয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মূলত পাটপাতা থেকেই শুঁয়োপোকা ছেয়ে গিয়েছে গোটা গ্রামে। অথচ বার বার পাটচাষিদের বলা সত্ত্বেও তাঁরা কীটনাশক ব্যবহার করছেন না। আগামী দু’দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা পরমা শীলের দাবি, ‘‘মেয়ের খাবার ঢেকে রাখা ছিল। সেই খাবার খেয়ে পেটের সংক্রমণে তিন দিন ধরে অসুস্থ মেয়ে। ভবিষ্যতে কেউ ছাড় পাবে না।’’ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘শুঁয়োপোকা নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy