প্রতীকী ছবি।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মুর্শিদাবাদ সফরের মধ্যেই জেলায় কংগ্রেস প্রার্থীর দাদাকে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রানিনগরের হেরামপুর অঞ্চলের রায়পুর গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম অরবিন্দ মণ্ডল (৪৫)। তিনিও কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে কংগ্রেস প্রার্থীর দাদার উপর হামলা চালায় শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যার জেরেই এই মৃত্যু বলে দাবি পরিবারের। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ পেলে নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামপুর থানার রায়পুরে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় দু’জন আহত হন। এলাকাবাসীর দাবি, ওই সংঘর্ষের ঘটনায় এক কংগ্রেস কর্মীর মাথা ফাটে। রাতেই আহতদের উদ্ধার করে ডোমকল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। স্থানীয়েরা জানান, এর পর শুক্রবার সকালে হীরামপুর অঞ্চলের ২৮ নম্বর বুথের কংগ্রেস প্রার্থীর দাদা অরবিন্দ বাড়ির সামনে বসেছিলেন। সেই সময় আচমকাই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি, বুকে লাথিও মারা হয়। তাতেই জ্ঞান হারিয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন অরবিন্দ।
পরিবারের দাবি, অরবিন্দের বুকে পেসমেকার বসানো ছিল। তাঁকে তড়িঘড়ি ডোমকল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অরবিন্দের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘তৃণমূলের প্রার্থী চিন্ময় মণ্ডলের লোকেরাই হামলা চালিয়েছে।’’
তৃণমূল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। চিন্ময় বলেন, ‘‘হয়তো হৃদ্রোগে মারা গিয়েছেন। উনি উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করছিলেন। সেই সময়েই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy