প্রতীকী ছবি।
সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল নিথর দেহ। শ্বাসকষ্টের পুরনো সমস্যার জেরে মৃত্যু হয়েছে প্রৌঢ়ের— প্রাথমিক ভাবে এমনটাই ধারণা হয়েছিল আত্মীয়দের। কিন্তু দেহ কবর দেওয়ার পর থেকেই মৃতের মেয়ে এবং তার প্রেমিকের আচরেণ সন্দেহ হয় পরিবারের অন্য সদস্যদের। এর পর পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ করে আদালত। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টা পর কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার নাকাশিপাড়া ধর্মদা পঞ্চায়েতের কিনোপোতা গ্রামে শাহান শেখ (৪৫) নামে এক প্রৌঢ়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির লোকজন দেখতে পান শাহানের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে। বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। এর পর মৃতের মেয়ে এবং তাঁর স্ত্রীর কথায় সন্দেহ জাগে প্রৌঢ়ের দুই ভাইয়ের মনে। তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এর পর ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ দেন, কবরস্থ দেহ ময়নাতদন্ত করতে। শুক্রবার নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ মৃতের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বাড়ির কাছাকাছি একটি জমি মেয়ের বিয়ের জন্য বিক্রি করতে চাইছিলেন মৃতের স্ত্রী। তাঁর মেয়েরও সায় ছিল জমি বিক্রিতে। কিন্তু তাতে রাজি হননি ওই প্রৌঢ়। এই ঘটনায় প্রৌঢ়ের স্ত্রী এবং মেয়ের হাত আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, ঘটনার দিন রাতে প্রৌঢ়ের মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর প্রেমিক। তিনিও তদন্তকারীদের নজরে।
মৃতের ভাই ইক্রাইম শেখের অভিযোগ, ‘‘জমি দখল করতে বৌদি, ভাইঝি এবং হবু জামাই মিলে দাদাকে খুন করেছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করলে সত্যিটা জানা যাবে।’’
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে দেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy