E-Paper

হাসপাতালের শৌচালয় থেকে পালাল বন্দি

উপ-সংশোধনাগারের তরফের দাবি, বিচারাধীন বন্দিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার নিরাপত্তার দায়িত্ব জেল পুলিশের নয়। তাই বন্দি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উপ-সংশোধনাগারের জানার কথা নয়। 

পালানোর আগে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের শয্যায় বিচারাধীন মইদুল মণ্ডল। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

পালানোর আগে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের শয্যায় বিচারাধীন মইদুল মণ্ডল। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৩ ০৭:০৭
Share
Save

মাত্র চার দিনের ব্যবধানে নদিয়া জেলায় আবার ঘটল বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনা। কৃষ্ণনগর আদালতের পর এ বার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল।

বাইরে পাহারায় থাকা তিন জন সশস্ত্র পুলিশ কর্মীকে কার্যত বোকা বানিয়ে হাসপাতালের শৌচালয় থেকে বন্দি পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। শুরু হয়েছে চাপানউতোড়। গত শনিবার কৃষ্ণনগর আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার আগে পুলিশের নজর এড়িয়ে বিল্লাল মণ্ডল নামে এক বিচারাধীন বন্দি পালিয়েছিল।

উপ-সংশোধনাগারের তরফের দাবি, বিচারাধীন বন্দিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার নিরাপত্তার দায়িত্ব জেল পুলিশের নয়। তাই বন্দি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উপ-সংশোধনাগারের জানার কথা নয়। আবার রানাঘাট পুলিশ জেলা সুপার কে কন্নন বলেন, ‘‘যেহেতু বিচারাধীন বন্দি, তাই তার দায়িত্ব জেল পুলিশেরই। জেল পুলিশের তরফে আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হলে সাহায্য করা হবে।’’

সূত্রের খবর, সংশোধনাগারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের থেকে তিন জন রিজার্ভ অফিসারকে (আরও) হাসপাতালে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাই বন্দি পালানোর দায় জেলা পুলিশেরই।

রানাঘাট হাসপাতাল থেকে পলাতক বন্দির নাম মইদুল মণ্ডল। গত ৭ মে গভীর রাতে রানাঘাট থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, ডাকাতির উদ্দেশ্য ছিল তার। গত ৮ মে অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

রানাঘাট উপ-সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল মইদুল। তাকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন সশস্ত্র পুলিশ কর্মীকে হাসপাতালে প্রহরায় রাখা হয়।

বুধবার বেলা এগারোটা নাগাদ মইদুল শৌচালয় যাওয়ার কথা জানায়। দুই পুলিশ কর্মী তাকে হাসপাতালের শৌচালয় নিয়ে যান। এর পরই শৌচালয়ের পরিত্যক্ত একটি দরজার উপরের ফাঁক দিয়ে পালিয়ে যায় মইদুল।

প্রত্যক্ষদর্শী এক রোগী দীপঙ্কর দাস বলেন, ‘‘ওই সময় আমিও শৌচালায় ছিলাম। মইদুল আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তার পর চোখের সামনেই দরজা বেয়ে ওই ফাঁকা অংশ দিয়ে গলে পালিয়ে যায়।’’

হাসপাতাল সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, ‘‘বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হলেও ইসিজি বা অন্য পরীক্ষা করে ওই বিচারাধীন বন্দির কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। দুপুর একটা নাগাদ ওই রোগী শয্যায় না থাকার বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। অথচ, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা কিছুই জানাননি!"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ranaghat Criminal

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।