প্রতীকী ছবি।
নদিয়ার হাঁসখালিতে কিশোরী গণধর্ষণ মামলায় চার্জ গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে সিবিআইকে ভর্ৎসনা করল আদালত। গোপন জবানবন্দির নথি কেন অভিযুক্তের আইনজীবীদের দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন রানাঘাট মহকুমা আদালতের বিচারক সুতপা সাহা। প্রাথমিক ভাবে তদন্তের দায়িত্বে থাকা হাঁসখালি থানার তদন্তকারী আধিকারিককে বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে তদন্তে কী উঠে এসেছিল, নির্যাতিতার মা ও বাবা তদন্তকারীদের কী জানিয়েছিলেন, তার প্রতিলিপি অবিলম্বে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের দিতে হবে। নইলে চার্জ গঠন করা যাচ্ছে না।’’
শনিবার শুনানির শুরুতেই ধৃত রঞ্জিত মল্লিকের আইনজীবী বিশ্বজিৎ চৌধুরীর দাবি করেন, নির্যাতিতার মা আদালতে প্রথম জবানবন্দিতে ঘটনাস্থলে শুধু ব্রজ গয়ালির উপস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন। পরে বয়ান বদল করে আরও কিছু নাম যুক্ত করা হয়। তাঁর বক্তব্য, তদন্তকারীদের উচিত যে কোনও একটি জবানবন্দি গ্রহণ করা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানোর জন্যই সিবিআই টালবাহানা করছে বলে দাবি করেন বিশ্বজিৎ। তদন্তের মোড় ঘোরাতেই বয়ান বদল করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্রজের আইনজীবী অপূর্ব বিশ্বাসও। উল্টো দিকে, নথি সরবরাহের জন্য সময় চান সিবিআইয়ের আইনজীবী। সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক ধৃতদের আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ নভেম্বর।
প্রসঙ্গত, গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কিশোরীকে মদ্যপান করিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে হাঁসখালিতে। এর পর ৫ এপ্রিল ভোরে নিজের বাড়িতেই কিশোরীর মৃত্যু হয়। ৯ এপ্রিল মৃতার মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল রাতে গ্রেফতার হন মূল অভিযুক্ত ব্রজ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ১৩ এপ্রিল হাঁসখালি গণধর্ষণ মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। ঘটনার ৮৫ দিনের মাথায় জমা দেওয়া হয় চার্জশিট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy