Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Kalyani University

গাছ কাটা নিয়ে উপাচার্যের নামে বেনামি পোস্টার

সোমবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এই ধরনের একাধিক পোস্টার নজরে আসতেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পোস্টার।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পোস্টার। ছবি: সুদেব দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কল্যাণী  শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৯
Share: Save:

কোথাও পোস্টারে লেখা: ‘বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত গাছ কাটা হচ্ছে কার স্বার্থে? ভিসি তুমি জবাব দাও।’ কোথাও আবার লেখা: ‘ভিসি তুমি কী চাও? উন্নতি নাকি দুর্নীতি? জানতে চায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকবৃন্দ।’ কোথাও সাদা কাগজে কালো কালিতে ছাপা: ‘দড়ি ধরে মারো টান, দুর্নীতিবাজরা হবে খান খান। প্রচারে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সমাজ।’

সোমবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এই ধরনের একাধিক পোস্টার নজরে আসতেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বেশ কিছু মূল্যবান গাছ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ দিনের এই সব পোস্টারে স্পষ্ট করে কোনও সংগঠনের নাম নেই। তবে গাছ কাটার ঘটনায় উপাচার্যের যুক্ত থাকার অভি‌যোগ ওঠায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, সেখানে মৃত গাছ দরপত্র করে বিক্রির জন্য একটি কমিটি রয়েছে। কোন গাছগুলি বিক্রি করা হবে, তা ওই কমিটিই চিহ্নিত করে। তারপর যাবতীয় নিয়ম মেনে, বন দফতরের ছাড়পত্র নিয়ে গাছ বিক্রির দরপত্র বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়। সম্পূর্ণ বিষয়টি পদ্ধতি মেনে হচ্ছে কি না তা দেখার দায়িত্ব রেজিস্ট্রারের। তবে উপাচার্যের সম্মতি থাকতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তথা বামপন্থী ছাত্রনেতা সবুজ দাসের দাবি, "তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কারণেই পোস্টার পড়েছে। এক গোষ্ঠী উপাচার্যের কাছ থেকে সুবিধা পাচ্ছে, অপর গোষ্ঠী পাচ্ছে না। যারা পাচ্ছে না, তারাই পোস্টার সাঁটিয়েছে।" আবার তৃণমূলপন্থী ছাত্রনেতা ইয়াসিন জামানের দাবি, " বিষয়টি আমি শুনেছি,তবে ওই পোস্টার দেখিনি।এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না।"

তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র তরফে বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, "যেখানে সংগঠনের নাম নেই, তা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। উপাচার্য অনৈতিক কিছু করে থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ অবশ্যই থাকবে। তবে আমাদের সংগঠনের তরফে এই ধরনের কোনও পোস্টার দেওয়া হয়নি।" কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর প্রামাণিকের বক্তব্য, "মৃত গাছ বিষয়ে দেখভালের দায়িত্ব রেজিস্ট্রারের। তবে পোস্টারের বিষয়টি আমার জানা নেই।"

আর উপাচার্য অমলেন্দু ভূঁইয়া বলেন, "পোস্টারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে দেখিনি। মনে হচ্ছে কারও স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে, সেই কারণেই এই পোস্টার।"

অন্য বিষয়গুলি:

Kalyani
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy