খুনের পর এই রাস্তা ধরেই পালায় সুশান্ত চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় দু’দিন কেটে গেলেও এখনও আতঙ্কে কাটেনি বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকার কাত্যায়নী গলির বাসিন্দাদের। সোমবার সন্ধ্যায় ওই এলাকাতেই ছুরি দিয়ে ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে কুপিয়ে খুন করে সুশান্ত চৌধুরী নামে এক যুবক। তার পর থেকে ওই এলাকা এখনও পর্যন্ত থমথমে। সন্ধ্যার পর পাড়ায় ঢুকতে চাইছেন না টোটো চালকরা। অন্য দিনের মতো পাড়ার চেনা মেজাজও উধাও হয়ে গিয়েছে সুতপা খুনের পর থেকে।
সুতপা খুনের পর থেকে শুনশান হয়ে গিয়েছে কাত্যায়নী গলি। পারতপক্ষে কেউই ওই পথ মাড়াতে চাইছেন না। রোহিণী মজুমদার নামে সুইমিংপুল গলির এক বাসিন্দা যেমন বললেন, ‘‘সন্ধ্যা নামলেই আর কেউ টোটো নিয়ে আসতে চাইছে না পাড়ায়। ছেলেকে টিউশন পড়িয়ে ফেরার সময় চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।’’ সকলেই বলছেন— মাফ করবেন দিদি সন্ধে নেমে গিয়েছে। ও রাস্তায় ঢুকব না।’’
কাত্যায়নী গলি থেকে কিছুটা দূরে স্বর্ণময়ী মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক টোটোচালকের কথায়, ‘‘প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হয়েছে। তার পর রয়েছে পুলিশ। এক দিকে যেমন দুষ্কৃতীর ভয়। তেমনই অন্য দিকে পুলিশের হয়রানি। আমরা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। ওই ঝামেলায় এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।’’
শুধু টোটোচালকই নয়, আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্যান্যদের মধ্যেও। কাত্যায়নী গলি এলাকায় বেশ কয়েকটি ওষুধের দোকানও রয়েছে। প্রতি দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে লেগে থাকে ক্রেতাদের ভিড়। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় সুতপা খুন হওয়ার পর থেকে সেই ভিড় কর্পূরের মতো উধাও হয়েছে। হাতে গোনা কয়েক জন ক্রেতার ভিড় দোকানে। তাও সকলেই ওই এলাকারই বাসিন্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy