জখম তিলক। নিজস্ব চিত্র
ভরা বাজারে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করা হল বগুলায়। মার খেয়েছেন তাঁর এক সঙ্গীও। দু’জনেই শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। এর প্রতিবাদে বগুলা বাজারে কৃষ্ণনগর-দত্তফুলিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। ভাঙচুর হয় তৃণমূলে দলীয় কার্যালয়ও। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বিজেপির ৩৮ নম্বর জেলা পরিষদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক তিলক বর্মণকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। গুলি তাঁর মাথা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কোনও মতে গুলির হাত থেকে বাঁচলেও তাঁকে আর তার সঙ্গী সৌরভ বিশ্বাস নামে আর এক বিজেপি কর্মীকে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দু’জনেরই মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাঁদের প্রথমে স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাতে বগুলা বাজারে বিদ্রোহী সঙ্ঘ ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিলক। সেই সময়ে সাত-আটটা মোটরবাইকে দুষ্কৃতীরা আসে। বিজেপির অভিযোগ, তারা প্রথমে একাধিক গুলি চালায়। তাতে লোকজন সরে গেলে তারা তিলককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি তাঁর মাথা ঘেঁষে চলে যায়। তার পরই দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধরে মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। আঘাত করা হয় সৌরভকেও। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁরা রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে বাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা চলে যায়। এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তজিত হয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। খবর পেয়ে হাঁসখালি থানার পুলিশ যায়।
রাতে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “তিলক খুব সক্রিয় নেতা। এলাকায় জনপ্রিয়।’’ তাঁর অভিয়োগ, ‘‘সেই কারণেই দুলাল বিশ্বাসের ছেলে, তৃণমূলের যুবনেতা বাপ্পা বিশ্বাস লোকজন নিয়ে গিয়ে তিলককে গুলি করে। পিস্তলের বাট দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাতও করেছে মাথায়।” তবে তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ বলেন, “এই ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়। যারাই ঘটিয়ে থাক, পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy