চলছে উচ্ছেদ অভিযান। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। ছবি : সুদীপ ভট্টাচার্য।
কৃষ্ণনগর শহরে ফের বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ করল প্রশাসন। শনিবার শহরের বেশ কিছু জায়গায় সরকারি জমিতে থাকা বেআইনি ঝুপড়ি এবং দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে।
নদিয়া জেলাসদরে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। জেলা প্রশাসনিক ভবনের কাছে সরকারি জমিতে ঝুপড়ি ও দোকান উচ্ছদের মধ্য দিয়ে তা শুরু হয়েছিল। এর মধ্যেও শহরের বেশ কয়েক জায়গায় দখলদার উচ্ছেদের কাজ করেছে প্রশাসন।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনার পরেই জেলার বিভিন্ন শহরে পুর কর্তৃপক্ষ বেআইনি দখলদার উচ্ছেদের উদ্যোগী হয়েছেন। সেই মতো তাদের সরে যাওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কোথাও কোথাও প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক হয়েছে। তবে কৃষ্ণনগর শহরে এর আগে বেআইনি দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য প্রচার করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ও দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই নিজেদের দোকান বা ঝুপড়ি সরিয়ে নিয়েছেন। যেগুলি রয়ে গিয়েছিল সেগুলোই এর মধ্যে সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
এ দিন সাতসকালেই পুলিশ-প্রশাসন অভিযানে নামে। আমিনবাজার থেকে এভি স্কুল মোড় পর্যন্ত এলাকায় অভিযান চলে। এর আগে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। সিপিএম এবং বিজেপির তরফে তা নিয়ে আন্দোলন হয়। তারা প্রশাসনের কাছে সেই দাবিও জানিয়েছিলেন।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাস বলেন, "হকারদের পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যায় না। তাঁদের রুটিরুজি বন্ধ করে এই উচ্ছেদ আমরা মানছি না। তাঁদের পুনর্বাসনের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবেই।" বিজেপির নদিয়া উত্তর সংগঠনিক জেলার মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, "প্রশাসনের কাছে আমরা আগেই দাবি জানিয়েছিলাম, যাঁদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার। এতগুলো মানুষ আর্থিক সমস্যায় পড়বেন। তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।"
কৃষ্ণনগরের পুরপ্রধান, তৃণমূলের রিতা দাস বলেন, "পুনর্বাসনের বিষয়টি প্রশাসন বলতে পারবে। আমাদের উপর যা নির্দেশ ছিল, সেই অনুযায়ী আমরা এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের যাবতীয় তথ্য নথিবদ্ধ করছি। তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy