কৃষ্ণনগর পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
নদিয়ার শান্তিপুরের পর এ বার নজরে কৃষ্ণনগর পুরসভা। পুরসভার নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতর নিজাম প্যালেসে কৃষ্ণনগরের এক পুর আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পুরসভার একটি সূত্রে খবর, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর এখনও বেশ কিছু তথ্য জানতে চান তদন্তকারীরা। তাই আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পুরসভার সমস্ত নিয়োগ সংক্রান্ত নথি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এ নিয়ে এখনও কোনও চিঠি পাননি বলে দাবি করেছেন কৃষ্ণনগর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শশীগোপাল সরকার। অন্য দিকে, এরই মাঝে এক চাকরিপ্রার্থীর তথ্যের অধিকার আইন (আরটিআই)-এ আবেদনের প্রেক্ষিতে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওএমআর শিট হারিয়ে গিয়েছে। ‘নথি লোপাটের’ অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে খবর।
বুধবারেই শান্তিপুর পুরসভার একাধিক আধিকারিককে তলব করা হয়েছিল নিজাম প্যালেসে। দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁদের। এর পর কৃষ্ণনগর পুরসভার নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তলব প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “সিবিআইয়ের কোনও চিঠি আমাদের কাছে আসেনি। তবে অফিসের এক কর্মচারীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। উনি সমস্ত তথ্য দিয়েছেন। এর পর আরও কিছু নথি চাওয়া হয়েছে। সেগুলো যথাসময়েই দিয়ে দেওয়া হবে।’’ পুরসভার নির্দল কাউন্সিলর অসিত সাহা বলেন, ‘‘দুর্নীতির যাঁরা মূল মাথা অর্থাৎ, যাঁরা এর আগে ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁদের কেন ইডি সিবিআই ডাকছে না?’’ এ নিয়ে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদারের বক্তব্য, “একটা দরকারি নথি পুরসভা থেকে হারিয়ে গেলে এটা কার ব্যর্থতা?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘হারিয়ে কিছুই যায়নি। ভয়ে অন্য জায়গায় সরিয়ে রেখেছে।’’
শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্ত চলাকালীন পুরসভার নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে। হুগলির প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর উঠে আসে অয়ন শীল নামে এক ব্যক্তির নাম। সেখান থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে অসাধু চক্রের হদিস পান তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy