প্রতীকী ছবি।
করোনার উপসর্গ আছে কিন্তু পরীক্ষা হয়নি এমন ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে ‘ফুল অক্সিজেন ইউনিট’ চালু করল সিপিএমের শিক্ষক সংগঠন ‘নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি’। পাশাপাশি নিভৃতবাসে থাকা সংক্রমিতদের জন্যও তারা পরিষেবা দেবেন বলে জানিয়েছে। গোটা জেলায় পাঁচটি ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে দু’টি বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিমিটার থেকে শুরু করে থাকছে পিপিই। সেই সঙ্গে থাকছে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও। যাতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত রোগীরা অক্সিজেন-সহ অন্যান্য প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু পেতে পারেন তার জন্য এই উদ্যোগ বলে এবিটিএ পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, কারও রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে তিনি সম্পূর্ণ ভাবে সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার মধ্যে চলে যাচ্ছেন। বিশেষ করে যাঁরা কোভিড হাসপাতাল বা সেফ হোমে থাকছেন। কিন্তু তার বাইরেও বিরাট সংখ্যক করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি যাঁদের কোনও উপসর্গ নেই তাঁদেরকে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এদের মধ্যে কারও অবস্থা আচমকা খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাঁদের প্রবল ভাবে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যেতে পারে। এমন কোনও রোগীর সন্ধান পেলে প্রয়োজন মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যাবেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। সেই জন্য জেলায় ৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও পড়ুয়াকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলার বেশ কয়েক জন উৎসাহী চিকিৎসকের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকেরা রোগীর বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে সেই চিকিৎসকদের মধ্যে কারও এক জনের সঙ্গে ফোন কথা বলে রোগীর শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দেবেন। চিকিৎসক তাঁদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন। স্বেচ্ছাসেবকেরা সেই নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ এনে খাওয়ানো থেকে শুরু করে প্রয়োজন হলে অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে এনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করবে বলে এবিটিএ-র নেতৃত্বের দাবি। এর পাশাপাশি করোনা পরীক্ষা করার আগেই যদি কারও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় বা চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তাঁকেও সেই একই পরিষেবা দেওয়া হবে বলে দাবি করা হয়েছে।
নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি সূত্রে খবর, কল্যাণী, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, তেহট্টের পাশাপাশি বেথুয়াডহরিতে এই ইউনিট খোলা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে থাকছেন ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক। তাঁদের মধ্যে এক জন ‘লিডার’ থাকছেন। যোগাযোগের নম্বরটি থাকবে তাঁর কাছে। সেই ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বেচ্ছাসেবকদের অক্সিজেন সিলিন্ডার-সহ সেই রোগীর কাছে পাঠিয়ে দেবেন। স্বেচ্ছাসেবকেরা পিপিই পরে যাবেন। যাতে সেবা করতে গিয়ে তাঁরা নিজেরা কোনও ভাবে সংক্রমিত হয়ে না-পড়েন। নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক রঞ্জিত মণ্ডল বলছেন, “আমরা হাসপাতালে যাওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষকে পরিষেবা দিতে তৈরি। আশা করছি এতে অনেকে উপকৃত হবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy