Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Fight in Wedding Ceremony Over Lipstick

কনের ঠোঁটে লিপস্টিক পরানো যাবে না! আপত্তি তুলতেই রণক্ষেত্র বিয়েবাড়ি, ফাটল বরের মাথাও

ন’মাস আগে আইনি বিয়ে হয়েছিল। সোমবার ছিল সেই বিয়ের সামাজিক অনুষ্ঠান। মেয়ের বাড়িতেই বসেছিল বিয়ের আসর। কনে বিদায়ের প্রস্তুতি পর্বেই হঠাৎ শুরু হয় গন্ডগোল।

A brawl errupted between bride and groom side

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩ ১০:২৮
Share: Save:

বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে চলছিল কন্যা বিদায়ের প্রস্তুতি। বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে মেয়েকে যত্ন করে সাজাতে বসেছিলেন আত্মীয়েরা। নানাবিধ সাজসজ্জার মধ্যেই হঠাৎ তাঁর ঠোঁটে লিপস্টিক পরানো নিয়ে আপত্তি তোলেন পাত্রপক্ষ। মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায় বিয়েবাড়ির পরিস্থিতি। তুমুল বাক্‌বিতণ্ডা এবং সংঘর্ষের জেরে শেষমেশ মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থা হয় বরের।

মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগরদিঘির শেখদিঘি এলাকার বাসিন্দা মনিরুল শেখের সঙ্গে ন’মাস আগে আইনি বিয়ে হয় রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার এক তরুণীর। তবে সোমবার ছিল সেই বিয়ের সামাজিক অনুষ্ঠান। মেয়ের বাড়িতেই বসেছিল বিয়ের আসর। মাছ মাংস-সহ নানা পদের এলাহি আয়োজনে বরযাত্রীদের খাওয়াদাওয়া করানোর পর শুরু হয় কনে বিদায়ের প্রস্তুতি। পাত্রী বিদায় এর আগে তাকে সাজাতে শুরু করেন পাত্রীপক্ষ। সেই পর্বেই কনেকে টিপ এবং লিপস্টিক পরানো নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান বর মনিরুল এবং তাঁর পরিবার। বরপক্ষের এমন আপত্তি শুনে দৃশ্যতই বিরক্ত হয় কনের পরিবার। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। যা গড়ায় বচসায় এবং শেষে হাতাহাতিতে।

পাত্রপক্ষের অভিযোগ, কনের পরিবারের সদস্যরা লোহার রড, বাঁশ এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে বর এবং বরযাত্রীদের উপরে আক্রমণ চালান। বেধড়ক মারধর করা হয় প্রত্যেককে। কনেপক্ষের আক্রমণে মাথা ফাটে বর মনিরুলের। জখম হন আরও পাঁচ বরযাত্রী। শেষে দু’পক্ষের সংঘর্ষের খবর রঘুনাথগঞ্জ থানায় পৌঁছলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তারাই বর এবং বরযাত্রীদের সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রে পরে জানা যায়, বর মনিরুলের ক্ষত গুরুতর হওয়ায় তাঁর মাথায় চারটি সেলাই করতে হয়েছে। তবে এখন অবস্থা স্থিতিশীল।

মনিরুল পোশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তাঁকে মারধর প্রসঙ্গে পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে তিনি বলেছেন ‘‘আমরা শুধু টিপ এবং লিপস্টিক পরানো নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম। তাই নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ওঁদের বাড়ির লোকজন, এমনকি, আমার শ্বশুর-সহ অন্য আত্মীয়রা বেধরক মারধর শুরু করেন। স্থানীয়রা না থাকলে আমাদের পিটিয়ে মেরে ফেলতেন ওঁরা।’’

যদিও পাত্রপক্ষের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাত্রীর কাকা ইসরাফিল বলেন, ‘‘ওঁরাই প্রথম অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাতে আমরা মেজাজ ঠিক রাখতে পারিনি। প্রথম মারধর করেন ওঁরা। পাল্টা মারেই কয়েকজন জখম হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Wedding Bride Groom Fight
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy