Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
Kidnappers Arrested

যুবককে অপহরণে মুক্তিপণ দাবি, ধৃত দু’জন

পুলিশ জানিয়েছে, ফিরোজ ও আমজাদ রুস্তমের কাছে বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। গত কয়েক দিন ধরে তারা এই নিয়ে রুস্তমের সঙ্গে আলোচনা করতে থাকে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাপড়া শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৪ ০৮:২৬
Share: Save:

যুবককে অপহরণের পর মায়ের কাছে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃত যুবক কুয়েতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে এসেছিলেন।

অভিযোগ, ওই যুবকের দুই বন্ধু তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। শুধু তাই নয়, টাকা না দিলে ওই যুবককে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেয়। মোবাইল ফোনের সূত্রে ধরে পুলিশ পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট এলাকা থেকে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে দু’জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা হল হাঁটরার বাসিন্দা ফিরোজ শেখ ও আমজাদ শেখ। সোমবার তাদের কৃষ্ণনগর আদাতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চাপড়ার তালুকহুদার বাসিন্দা রুস্তম শেখ কাজের সূত্রে কুয়েতে থাকেন। সেখানে হোটেলে কাজ করেন। দিন কয়েক আগে বাড়ি ফেরেন। কুয়েতে কাজ করে তিনি যে মোটা টাকা জমিয়েছেন সে কথা জানতে পারে তাঁর দুই বন্ধু। এরপরই তারা রুস্তমের কাছ থেকে মোটা টাকা হাতানোর পরিকল্পনা করে। সেই মত রুস্তমকে অপহরণের ছক কষে।

পুলিশ জানিয়েছে, ফিরোজ ও আমজাদ রুস্তমের কাছে বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। গত কয়েক দিন ধরে তারা এই নিয়ে রুস্তমের সঙ্গে আলোচনা করতে থাকে। রবিবার তারা জানায় যে, তাদের সঙ্গে নাকাশিপাড়ার গাছার আরও একজন বিদেশে কাজে যেতে চায়। সেই মত তারা একটি গাড়িতে করে রুস্তমকে নিয়ে গাছায় এক পরিচিতের বাড়িতে ওঠে। সেখানে প্রথমে রুস্তমের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে তারা।

এদিকে ছেলে বাড়ি না ফেরায় মা মেচুরা বিবি রুস্তমকে ফোন করেন। বেশ কয়েকবার ফোন করার পর ধৃতরা তাঁকে জানায় যে তাদের তিন লক্ষ টাকা না দিলে রুস্তমকে খুন করা হবে। এর পরই রুস্তমের মা চাপড়া থানার পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ রুস্তম ও তার সঙ্গীদের মোবাইল ফোনের সূত্রে ধরে তাদের অবস্থান জানার চেষ্টা করে। দেখা যায় তারা গাছা এলাকায় আছে। কিন্তু পুলিশ সেখানে পৌঁছনোর আগেই ধৃতেরা রুস্তমকে নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট এলাকায় চলে যায়। সেখানে বাবু সাহা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ওঠে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রাতেই পুলিশ সেখানেও পোঁছে যায়। রুস্তমকে উদ্ধার ও ফিরোজ, আমজাদকে গ্রেফতার করে। তবে বাবু সাহাকে ধরা যায়নি। সে পলাতক বলে পুলিশের দাবি।

অন্য বিষয়গুলি:

chapra Kidnap
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE