উদ্ধার হওয়া শকুন। নিজস্ব চিত্র।
এক পাখির পরিচয় নিয়ে দিনভর চলল টানাপড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাখিটি গোল্ডেন ঈগল বলে দাবি করে পোস্ট শুরু হয়। কিন্তু পরে জানা যায়, পাখিটি শকুনেরই একটি প্রজাতি। তবে সেই প্রজাতির শকুন পূর্ব মেদিনীপুরে দেখতে পাওয়া নিয়েও কয়েকজন পক্ষীপ্রেমী উচ্ছ্বসিত।
হলদিয়া মহকুমার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের রেয়াপাড়ার কৃষ্ণনগর গ্রামে বড়সড় পাখিটি পাওয়া যায়। আহত পাখিটিকে দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীরা বন দফতরে খবর দেন। বন দফতর থেকে পাখিটি নিয়ে যাওয়া হয়। দফতর সূত্রে খবর, পাখিটির ওজন প্রায় ১২ কেজি। ডানা দু’দিকে প্রসারিত করলে দৈর্ঘ্যে সাড়ে ৪ ফুট। ডিএফও অনুপম খান বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে এটি একটি হিমালয়ান গ্রিফিন শকুন। অনেকেই এটাকে গোল্ডেন ঈগল বলছেন। এটি কিন্তু গোল্ডেন ঈগল নয়।’’ এডিএফও বলরাম পাঁজা বললেন, ‘‘পাখিটি সুস্থ রয়েছে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসক দেখেছেন। ওষুধ দেওয়া হয়েছে। পাখিটি পছন্দের মাংস অল্প অল্প করে খেতে শুরু করেছে। এই জাতীয় শকুন খুব কম দেখা যায়। আমাদের এখানে কী ভাবে এল তা গবেষণার বিষয়। পক্ষী বিশেষজ্ঞদের কাছে এটি একটি উৎসাহব্যঞ্জক ঘটনা।’’ পাখিটিকে খেজুরি বিট অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বন দফতর সূত্রে খবর, বছর কয়েক আগে একটি শকুন উদ্ধার হয়েছিল জেলায়। সেটি মিলেছিল হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া এলাকায়। পরে সেটি বালুঘাটা বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাখিপ্রেমীদের একটি অংশ জানাচ্ছে, গোল্ডেন ঈগল না মিললেও হিমালয়ান গ্রিফন পাওয়াটাও জেলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। অবিভক্ত মেদিনীপুরে শকুন দেখতে পাওয়া যায় না বর্তমানে। সাম্প্রতিক অতীতে ঝাড়গ্রামের আকাশে শকুন দেখা গিয়েছিল। তবে ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। শকুনগুলো সম্ভবত ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছিল বলে পাখিপ্রেমীদের মত। আর নন্দীগ্রামে পাওয়া পাখিটির বাসস্থান হিমালয় অঞ্চলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy