Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

স্ত্রী-ছেলের দায়িত্ব নিতে হবে প্রশাসনকে, দাবি মৃতের মায়ের

ঘোড়ই পরিবারে তিন ভাইয়ের মধ্যে তরুণ ছিলেন। মা, বাবা দাদাদের সঙ্গে একই বাড়িতে স্ত্রী ও বছর ছয়েকের ছেলেকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন। দুই দাদা অরুণ ও বরুণ অস্থায়ী সরকারি কর্মী।

তরুণ ঘোড়ইয়ের শোকার্ত মা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

তরুণ ঘোড়ইয়ের শোকার্ত মা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

গোপাল পাত্র
এগরা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯ ০০:৪৫
Share: Save:

দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে এগরা থানায় অস্থায়ী সাফাই কর্মী হিসাবে কাজ করছিলেন মৃত তরুণ ঘোড়ই। মঙ্গলবার ছেলের মৃত্যু খবর পাওয়ার পর থেকে চোখের জল বাঁধ মানছে না গীতাদেবীর। থানার চত্বরেই গ্রামের ছেলের এমন মৃত্যুতে অবাক আকলাবাদের মানুষ।

ঘোড়ই পরিবারে তিন ভাইয়ের মধ্যে তরুণ ছিলেন। মা, বাবা দাদাদের সঙ্গে একই বাড়িতে স্ত্রী ও বছর ছয়েকের ছেলেকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন। দুই দাদা অরুণ ও বরুণ অস্থায়ী সরকারি কর্মী। বাবা মানগোবিন্দ ঘোড়াই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। তরুণের স্ত্রী গত রবিবার ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে যান। সোমবার শ্বশুরবাড়িতে ফেরেননি। স্ত্রী বাপের বাড়িতে থাকার জন্য তরুণ সোমবার বাড়ি না ফিরে রাতে থানাতেই রাত কাটান। রোজ বাড়ি ফিরলেও সোমবার না ফেরায় বাড়ির লোকজন ভেবেছিলেন হয়তো কাজের পর শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছেন তরুণ। মঙ্গলবার দুঃসংবাদ আসার পর তাঁরা জানতে পারেন তরুণ সোমবার রাতে থানায় ছিলেন।

প্রতিবেশীরা জানান, মিশুকে স্বভাবের তরুণ বরাবরই শান্ত প্রকৃতির। কখনও কোনও রকমের অশান্তিতে জড়াতেন না। থানায় ডিউটি সেরে যত রাতই হোক বাড়ি ফিরে আসতেন। বাড়িতে স্ত্রী এবং একটি ছ’বছরের ছেলে রয়েছে। মাথায় গুলি লেগে ছেলের মৃত্যুতে পরিবারের দাবি, জেনে বুঝে তরুণকে কেউ গুলি করেছে। এর উপযুক্ত তদন্ত হোক। দোষীকে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

মা গীতা দেবী বলেন, ‘‘ছেলে কখনও কারও ক্ষতি করেনি। কেন তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলা হল। এর বিচার চাই। ওর স্ত্রী-ছেলের দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে।’’

প্রতিবেশী যুবক সুরজিৎ কামিল্যা বলেন, ‘‘তরুণদা সবার সঙ্গেই মেলেমেশা করতেন। কখনও কারও সঙ্গে ঝগড়া করতে দেখিনি। কেন তাঁকে ডিউটিরত অবস্থায় গুলি করে মারা হল উপযুক্ত তদন্ত চাই।’’ এগরা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলায় হরিপদ বেরা বলেন, ‘‘প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত তদন্তের আবেদন জানিয়েছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Egra Police Station Shot Dead
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy