শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা করে রবিবার বিকেলে নন্দীগ্রামে বিজেপির ‘ঝাঁটা’ মিছিলে হাঁটলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি মহিলা মোর্চা আয়োজিত ওই ধিক্কার মিছিলে কয়েক’শো বিজেপি সমর্থক যোগ দেন। মহিলারা মিছিলে ঝাঁটা হাতে হাঁটেন।
নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন পর্বে অত্যাচারিত রাধারানী আড়ি, হৈমবতী হালদার, কল্পনা মুনিয়ানদের প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু এ দিন বলেন, ‘‘সন্দেশখালি নিয়েই আমাদের বক্তব্য। মা-বোনেদের ইজ্জত বিক্রি হতে দেব না। মায়েদের সঙ্গে এ জিনিস বাংলা মেনে নেবে না।’’ নন্দীগ্রামের হরিপুর থেকে শুরু করে দেবীপুর চৌমাথায় এসে মিছিল শেষ হয়। তার পর সভা হয়। সভামঞ্চে বড় পর্দায় বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে সন্দেশখালির অত্যাচারিত মহিলাদের যে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল সেগুলি দেখানো হয়।
সেই সাক্ষাৎকার দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, ’’দেখুন মা-বোনদের কী ভাবে রাতের পর রাত তুলে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের হার্মাদেরা। মমতার সম্পদেরা। পুলিশের শাহজাহানকে ধরার ক্ষমতা নেই, ভোট ব্যাঙ্ক নড়ে যাবে যে।’’ এ ব্যাপারে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে অনেক বার টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
তমলুক শহরে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ৫১৫ তম আগমন উপলক্ষে রবিবার সকালে মহাপ্রভু জিউ মন্দিরের উদ্যোগে শহরে শোভযাত্রা আয়োজন হয়েছিল। চৈতন্য মহাপ্রভুর পাদুকা সঙ্গে নিয়ে শুরু হওয়া ওই শোভযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন শুভেন্দু। শোভযাত্রা শেষে মন্দির দর্শন করার পরে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, ’’মায়েরা, বোনেরা ভোগ্য পণ্য। লজ্জা রাখার জায়গা নেই। সন্দেশখালি আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। মেয়েরা যে অভিজ্ঞতার কথা বলছেন তাতে গা শিউরে উঠছে ঘৃণায়।’’ এ দিন তমলুক শহরের জেলখানার মোড়ের কাছে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে চৈতন্যদেবের পাদুকা নিয়ে কীর্তন গান সহ কয়েক হাজার মানুষের বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে ফের মন্দির প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। ওই শোভযাত্রায় শুভেন্দু ছাড়াও ছিলেন শ্রীপাট গোপীবল্লভপুরের মহান্ত কৃষ্ণকেশবানন্দ দেবগোস্বামী, তমলুক শহরে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু জিউ মন্দিরের মহান্ত শ্যামসুন্দরানন্দ দেবগোস্বামী ও মহোৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরকিশোরানন্দ দেবগোস্বামী। উৎসব আজ সোমবার পর্যন্ত চলবে। শনিবার রাজ্যসভার সাংসদ পদের প্রার্থী হিসেবে মমতাবালা ঠাকুরের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। এ নিয়ে শুভেন্দু মন্তব্য করেন,’’মতুয়া ভোট নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেই আছে। শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে লড়াই করে হেরেছেন মমতাবালা ঠাকুর। যেখানে মানুষ প্রত্যাখান করেছে সেখানে এটা নিয়ে আমাদের তেমন মাথাব্যথা নেই।’’ শুভেন্দু বলেন,‘‘অঙ্কের হিসেবে ৪ জন যায় রাজ্যসভায়। তৃণমূলের মালিক কোন কোন কর্মচারী যাবেন ঠিক করেছেন।তৃণমূলের মালিক ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরের এই সিদ্ধান্তে আমাদের আহ্লাদিত হওয়ার কিছু নেই। তবে উনি বাংলা, বাংলা করেন। অথচ ওদের চার জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জনই বাংলার বাইরের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy