পটাশপুরে মতিরামপুর থেকে দাইতলা বাজার পর্যন্ত বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
আগাগোড়া তিনি দলের কর্মীদের পাশেই রয়েছেন। রবিবার পটাশপুরে সভা থেকে সেই বার্তাই দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর রবিবার পটাশপুরের মতিরামপুর থেকে দাইতলা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। মিছিল শেষে দাইতলা বাজারে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের কর্মীদের সঙ্গে এ দিন মিছিলে পা মেলান শুভেন্দু। মিছিলে অবশ্য গত রবিবারের কর্মসূচির তুলনায় ভিড় ছিল যথেষ্ট।
প্রসঙ্গত, ময়নার বাকচায় বিজেপি নেতা বিজয় ভুঁইয়ার খুনের প্রতিবাদে কয়েক দিন আগে পটাশপুরে অবরোধ কর্মসূচি করে বিজেপি। সেসময় বিজেপির দুই নেতাকে মারধর এবং মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের অভিযোগ উঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তার প্রতিবাদে গত রবিবার পটাশপুরে কর্মসূচি করতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে পুলিশ। যদিও পুলিশের নিষেধ সত্ত্বেও সেদিন মিছিল করেছিলেন তিনি। তারপর এদিন পুনরায় মিছিল করার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মোহনলাল শী এবং কৃষ্ণগোপাল দাস এখনও জেলহাজতে। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওদের জামিনের চেষ্টা চলছে। তাপস মাজির উপর আট বার হামলা হয়েছে। তিনিও হাইকোর্টে মামলা করেছেন।’’ এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে বিক্ষোভ সভার আয়োজন নিয়ে ফের পুলিশকে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি কটাক্ষ করেন, ‘‘মমতার পুলিশ আমাদের কর্মসূচি হলো তো! দেখ কেমন লাগছে। মমতা পুলিশ বেশি দিন নেই।" সভায় মিনিট পাঁচেক বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। সেখানে কর্নাটক বিধানসভা ভোটে ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘এত লাফানোর কিছু নেই কর্নাটকে। গত দেড় বছরে এগারোটা রাজ্য ভোট হয়েছে। ৮টায় মোদি-যোগী। আগলি বার মোদিজী চারশো পার। তার আগে পঞ্চায়েতে লড়ে দেখে নেব বুঝে নেব।’’
গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে পটাশপুর। দলের আক্রান্ত কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শুভেন্দু ঘোষণা করেন, ‘‘আমি আবার সিংদায় সভা করব। বড়হাটে যাওয়া বাকি ছিল সেখানেও যাব। আমি যাহা বলি ভাবিয়া বলি। যাহা বলি তাহা করিয়া দেখাই।’’ পঞ্চায়েত ভোটে দলের কর্মীদের লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘বাংলার পরিবর্তন হবে তো! পঞ্চায়েত থেকে শুরু করতে হবে। জোর লড়াই করতে হবে।’’
পরে ফের পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু,"এখানকার বড় মাতব্বর কুন্ডু না হান্ডু রয়েছে। ওই বাচ্চা ছেলে। অনেক কম বয়স। এত বাড়াবাড়ি কোরো না। ওর হেড ক্র্যাক আছে। এ কোনওদিন না কালিয়াগঞ্জের মতো অবস্থা করে ছেড়ে দেয়। মাথা ঠান্ডা করে ভাই চল। অমরনাথের কথা শুনে বেশি চলবি না। কারণ অমরনাথ পিসি ও ভাইপোর কথায় চলে। আমরা এখানে সরকার করে দেখাব।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতার মন্তব্য, ‘‘আমার স্লোগান ধার নিয়ে বলেছে কর্নাটকে নো ভোট টু বিজেপি। আরে পশ্চিমবঙ্গের লোক তো প্রস্তুত হয়ে গেছে নো ভোট টু মমতা করার জন্য।’’
এক সময় মঞ্চের সিঁড়িতেই বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা। কর্মী-সমর্থকদের সাবধানে বাড়ি যাওয়ার তদারকি করেন শুভেন্দু। দলের কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘আমি এখানে ২০ মিনিট আছি। সাবধানে বাড়ি ফিরুন।’’ কখনও বুকে হাত ঠুকে দলের কর্মীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এদিন বিজেপির কর্মসূচির জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy