প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাতের রাস্তায় পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগ করে পোলট্রি মুরগি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্য জুড়ে তারা মুরগি সরবরাহ বন্ধ রাখবে বলে সিদ্ধান্ত পোলট্রি সংগঠনের।
পোলট্রি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দিন কয়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার পুলিশকে দাবি মতো তোলা না দেওয়ায় মুরগি বহনকারী গাড়িচালকের উপর ‘নারকীয় হামলা’ হয়। পুলিশের মারে মাথায় চোট পান ওই চালক। বর্তমানে বেলদা হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের জুলুমের প্রতিবাদ জানাচ্ছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’।
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় সংগঠনের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান সন্দীপ দাস। তিনি বলেন, “সারা রাজ্যে রাতের সড়কে পুলিশের তোলাবাজি কিছু দিনের জন্য বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু গত এক-দেড় বছর ধরে তা আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। পোলট্রি বোঝাই গাড়ি নিয়ে গেলেই তাঁদের বৈধ কাগজ থাকার পরেও মোটা টাকা দাবি করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করলেই জুটছে লাঞ্ছনা, মিথ্যা মামলা ফাঁসানোর হুমকি।” সন্দীপ বেলদার ঘটনার উদাহরণ দিয়ে বলেন, “গত ১১ জুলাই রাত প্রায় সাড়ে ৩টে নাগাদ মুরগি বোঝাই গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন শালবনির বাসিন্দা সমীর ঘোষ। বেলদা থানার পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকায়। সমস্ত বৈধ কাগজ দেখার পরেও তাঁর কাছে মোটা টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা দিতে না চাইলে পুলিশ আধিকারিকরা হাতে থাকা টর্চ দিয়ে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেন।’’ তিনি জানান, ওই খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়িচালককে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর গাড়ি তখনও আটক করে রেখেছিল পুলিশ। গাড়িচালককে তাঁরাই উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-র সভাপতি জানান, তার পর গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনের একাধিক জায়গায় তাঁরা চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও ‘পুলিশি জুলুম’ বন্ধ হচ্ছে না। সন্দীপ বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে পুলিশের এই তোলা আদায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় সংগঠনের কার্যকর্তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ১৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে রাজ্য জুড়ে পোলট্রি মুরগি সরবরাহ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখা হবে।” তাঁর সংযোজন, ‘‘রাজ্য সরকার যত ক্ষণ না পুলিশের তোলা আদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়, তত ক্ষণ রাজ্য জুড়ে মুরগি সরববাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy