Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Toll Plaza Vandalized

বোর্ড গড়েই টোলপ্লাজা ‘দখলে’ কুড়মিরা

জামবনির চিল্কিগড় পঞ্চায়েত ‘টাই’ ভেঙে কুড়মিরা দখল করেছে। কেন্দডাংরিতে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও ঘাসফুলের এক সদস্যের সমর্থনে কুড়মি প্রধান হয়েছেন।

বালিভাসা টোলপ্লাজায় চলে ভাঙচুর।

বালিভাসা টোলপ্লাজায় চলে ভাঙচুর। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
 ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৫০
Share: Save:

বোর্ড গঠনের পর মহিলারা জল ভর্তি কলসি মাথায় নিয়ে গিয়ে ধুইয়ে দিলেন পঞ্চায়েত অফিস। তারপর চেয়ারে বসলেন দুধকুণ্ডি পঞ্চায়েতের কুড়মি প্রধান।ঝাড়গ্রামে শুক্রবারও কোথাও বিজেপির সমর্থনে, কোথাও তৃণমূলের সমর্থনে বোর্ড গড়লেন কুড়মিরা।

দুধকুণ্ডিতে এ দিন বোর্ড গড়ার পরে অদূরে ৪৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বালিভাসা টোলপ্লাজায় কুড়মি সামাজিক সংগঠন ও তৃণমূলের লোকজনের মধ্যে অশান্তিও হয়। বোর্ড গঠন ঘিরে সামাজিক সংগঠনের হলুদ পতাকা নিয়ে বহু কুড়মি মানুষ জমায়েত করেছিলেন দুধকুণ্ডিতে। পরে মিছিল করে তাঁরা বালিভাসা টোল প্লাজায় যান। এখানে তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কুড়মিরা হলুদ পতাকা লাগাতে গেলে বাধা দেয় তৃণমূলের লোকজন। হলুদ পতাকা তুলে ফেলে দেয় বলেও অভিযোগ। এরপরই দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি বাধে। জখম হন তিন জন— তৃণমূলের বাদিনা বুথ সভাপতি চন্দ্রশেখর মাহাতো এবং টোল প্লাজার দুই কর্মী। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি।

ঝাড়গ্রাম ব্লকের দুধকুণ্ডি পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছে নির্দল কুড়মিরা। ৮টি আসনের মধ্যে ৫টিতে জিতেছে তারা, তৃণমূল তিনটি আসন পেয়েছে। এ দিন বোর্ড গঠনের আগে ৮১ জন কুড়মি মহিলারা পিতল ও কাঁসার ঘড়ায় জল নিয়ে শোভাযাত্রা করে পঞ্চায়েত অফিসে যান। অফিস চত্বর ধোয়ানোর পরেচেয়ারে বসেন প্রধান লবঙ্গলতা মাহাতো ও উপপ্রধান সুমিত্রা মাহাতো। কুড়মি নেতা সুশীল মাহাতো বলেন, ‘‘এতদিন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর নানা সামাজিক প্রকল্প রূপায়ণে দুর্নীতি হয়েছে। তাই স্বচ্ছভাবে পরিষেবা দিতে পঞ্চায়েত অফিস ধোয়ানো হয়।’’

জামবনির চিল্কিগড় পঞ্চায়েত ‘টাই’ ভেঙে কুড়মিরা দখল করেছে। কেন্দডাংরিতে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও ঘাসফুলের এক সদস্যের সমর্থনে কুড়মি প্রধান হয়েছেন। উপপ্রধান তৃণমূলের। সাঁকরাইল ব্লকের খুদমরাই পঞ্চায়েত আবার পদ্মের সমর্থনে কুড়মিরা দখল করেছে।

জেলার নানা প্রান্তেই বোর্ড গঠনে নানা সমীকরণ দেখা গিয়েছে। নয়াগ্রামের বেড়াজাল পঞ্চায়েতে ৯টি সংসদের মধ্যে তৃণমূল ৩টি, বিজেপি ৩টি ও নির্দল ৩টিতে জিতেছিল। প্রধান আসন জনজাতি মহিলা সংরক্ষিত। তৃণমূলের তেমন কেউ না থাকায় বিজেপির ঈশ্বরমণি মুর্মু তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে তৃণমূল বোর্ড গড়েছে। প্রধান হন ঈশ্বরমণি। ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর পঞ্চায়েতে আবার বোর্ড গঠনের আগে জোড়খালির কুড়মি সদস্য জয়ন্ত মাহাতো অঞ্চল সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ওই পঞ্চায়েতও তৃণমূল দখল করেছে। বিদ্যুৎ বলেন, ‘‘জোড়াখালি সংসদে তৃণমূলের প্রার্থী ছিল না। জয়ন্ত মাহাতোকে আমরা সমর্থন করেছিলাম।’’ বেলিয়াবেড়া ব্লকের চোরচিতা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সভায় বিজেপি ও নির্দলরা অনুপস্থিত থাকায় তৃণমূলই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাবে বোর্ড গড়েছে। ব্লক তৃণমূলের সভাপতি টিঙ্কু পাল বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতটি ত্রিশঙ্কু হলেও বোর্ড গড়ার সভায় অন্য কেউ হাজির হননি। ফলে প্রধান ও উপপ্রধান আমাদেরই হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Jhargram Kurmi Community
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy