ফাইল চিত্র।
ইয়াসের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ শিবিরের মাধ্যমে আবেদন সংগ্রহ করেছিল জেলা প্রশাসন। আবেদনগুলি খতিয়ে দেখার পর প্রায় ৯২ শতাংশ আবেদন বাতিল হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। ১ জুলাই থেকে সাত দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেবে সরকার। যে হেতু বৃহস্পতিবার ছুটি ছিল তাই শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া।
জেলাশাসক রশ্মি কমল শুক্রবার বলেন, “সরকারের নির্দেশ মেনে আবেদন নেওয়ার পর তা যাচাই করে ক্ষতিগ্রস্তদের নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষতিপূরণের জন্য প্রায় ৩০ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সাতটি ব্লকে ৪২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৮৯ জায়গায় দুয়ারে ত্রাণ শিবির হয়েছিল। দাঁতন ১ ও ২ ব্লক, দাসপুর ২, কেশিয়াড়ি, কেশপুর, মোহনপুর এবং সবং ব্লকে এই শিবির করা হয়েছিল। জমা পড়া প্রায় ৩০ হাজার আবেদনের মধ্যে ৯২ শতাংশ আবেদন বাতিল হয়েছে। ২৩৭৩টি আবেদন মঞ্জুর করেছেন জেলাশাসক। সেই সব ক্ষতিগ্রস্থদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
প্রাশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সব থেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল সবং ব্লকে। সবচেয়ে কম আবেদন জমা পড়ে দাসপুর ২ ব্লক থেকে। সেখানে একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারে ত্রাণ শিবির হয়েছিল। ইয়াসে পুরোপুরি এবং আংশিকভাবে ভেঙে পড়া বাড়ির মোট সংখ্যা ১৯৫২টি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে দাঁতন। সেখানে ৮৫৬ জনকে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হচ্ছে। সবং ব্লকে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ৫৬৩ জন, দাসপুর ব্লকে ২৩৪, দাঁতন ২ ব্লকে ৯০, কেশিয়াড়ি ব্লকে ১২৯, কেশপুর ব্লকে ৯৪ এবং মোহনপুর ব্লকে ২৫২ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy