নাবালিকা-সহ পাঁচ জনের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক চিকিৎসককে। সোমবার গভীররাতে এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনিতে। ওই চিকিৎসক শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কর্মরত। ধৃতের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি-সহ পকসো আইনেও মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এর পরেই শালবনি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ওই চিকিৎসককে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই তিন জনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে ডেপুটি-১, ডেপুটি-২ এবং নার্সিং হেল্থ আধিকারিক রয়েছেন। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে।’’ এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘শ্লীলতাহানির অভিযোগে সোমবার গভীররাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই চিকিৎসককে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
অভিযোগকারিণীদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে সোমবার সকালে রাউন্ডে গিয়ে ওই চিকিৎসক এক নাবালিকা-সহ আরও চার জন মহিলার শ্লীলতাহানি করেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবারের লোকজন। শালবনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। হাসপাতালের বিএমওএইচ স্বর্ণালি দাস বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা স্বাস্থ্য দফতর নেবে।’’