Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Farmer Couple

চাষ করে জমানো এক লক্ষ টাকা দুই স্কুলে দান করলেন বৃদ্ধ কৃষক দম্পতি

রাখহরি কৃষিজীবী। পড়াশোনার প্রতি তাঁর ভীষণ আগ্রহ। পরিবারের প্রত্যেককেই পড়াশোনা করিয়েছেন।

Image of Rakhahari Ghosh donating money to school

প্রবীণ কৃষক দম্পতি নিজেদের সঞ্চয়ের এক লক্ষা টাকা তুলে দিলেন দু’টি স্কুলের কর্তৃপক্ষকে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দ্রকোনা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:০৮
Share: Save:

নিজেদের সন্তান নেই। চাষ করে যেটুকু টাকা জমিয়েছেন, তা শিক্ষার উন্নতিতে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন রাখহরি ঘোষ এবং ছবিরানি ঘোষ। তাই প্রবীণ কৃষক দম্পতি নিজেদের সঞ্চয়ের এক লক্ষা টাকা তুলে দিলেন দু’টি স্কুলের হাতে। এক একটি স্কুল পেল ৫০ হাজার টাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা এলাকার ঘটনা।

৮৮ বছরের রাখহরি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানা এলাকার পরমানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। রাখহরি কৃষিজীবী। পড়াশোনার প্রতি তাঁর ভীষণ আগ্রহ। পরিবারের প্রত্যেককেই পড়াশোনা করিয়েছেন। নিজেও সময় পেলেই পড়াশোনা করেন। প্রবীণ এই মানুষটির বহুদিনের ইচ্ছে ছিল, চাষ করে উপার্জন করা নিজের অর্থের কিছুটা দান করবেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর সেই লক্ষ্যেই দু’টি স্কুলকে বেছে নেন তিনি। একটি তাঁর গ্রাম থেকে ১ কিমি দূরে মৌলা হাইস্কুল। সেই স্কুলে ৫০ হাজার টাকা দান করেন তিনি।

অন্য দিকে, লক্ষীপুর হাইস্কুলে রাখহরি দান করেন ৫০ হাজার টাকা। এই স্কুলেই তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। অনুদান পেয়ে খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ। রাখহরিবাবু বলেন, ‘‘প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে গিয়েছি। শিক্ষা ছাড়া মানুষের উন্নতি হয় না। সমাজেরও উন্নতি হয় না। তাই ইচ্ছে ছিল আমি এবং আমার স্ত্রী দু’জনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজেদের উপার্জিত যৎসামান্য অর্থ দান করব। সেই কাজ করতে পেরে খুশি। স্কুলের উন্নয়ন বা ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি হোক, যে কোনও ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে পারবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।’’

এ দিকে লক্ষ্মীপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাণ্ডে বলেন, ‘‘অনেক মহান হৃদয়ের পরিচয় দিয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি। অনেকের টাকা থাকলেও মন থাকে না। ওঁর কাছে আবেদন করা হয়েছে, যদি তিনি আরও কিছু অর্থ দিয়ে স্কুলে একটি মঞ্চ করে দেন কারও স্মৃতির উদ্দেশ্যে। তা হলে স্কুলে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি।’’ মৌলা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত মল্লিক বলেন, ‘‘শুধু স্কুলকে উপকৃত নয়, সমাজের অগ্রগতিতে সাহায্য করলেন ওই দম্পতি। মহৎ দান। স্কুলের পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। ওঁর অনুমতি নিয়েই সেই কাজ করানো হবে। ওঁর অনুপ্রেরণায় স্কুলের উন্নতি হবে। দিশা দেখলেন তিনি। ’’

অন্য বিষয়গুলি:

Farmer Couple donation school
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy