শিশির অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
কাঁথি তাঁর পরিবারের হাতছাড়া হওয়ায় তাঁর প্রতিক্রিয়া কী? দু’একটি কটাক্ষসূচক বাক্য বলে ফোনটাই কেটে দিলেন প্রবীণ রাজনীতিক তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী।
বুধবার পুরভোটের ফল ঘোষণার পর কাঁথি শহরের ‘অধিকারীগড়’ খেতাব ইতিহাসে ঢুকে পড়ল। শুধু রয়ে গেল খাতাকলমে। দীর্ঘ প্রায় চার দশক পর কাঁথি পুরসভার নিয়ন্ত্রণ হারালেন শিশির এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। সেই ১৯৬৯ সালে ‘কমিশনার’ হিসেবে কাঁথি পুরসভায় পদার্পণ করেছিলেন শিশির। বহু ঘাত-প্রতিঘাতের পরেও তিনি দীর্ঘদিন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। কালক্রমে তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র সৌম্যেন্দুও ওই পুরসভার চেয়ারম্যান হন। কিন্তু বুধবার থেকে কাঁথি পুরসভা আক্ষরিক অর্থেই ‘অধিকারী-শূন্য’।
বুধবারের ফলাফলের পর প্রবীণ রাজনীতিক শিশিরের প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁকে ফোনে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। খানিক বিরক্ত স্বরেই শিশির বলেন, ‘‘আমাকে চুলকাতে ফোন করেছেন! আপনি খুব ভাল মানের রিপোর্টার। আমি সব জানি। আমাকে আর ঘাঁটাবেন না।’’ আর বাক্যব্যয় না-করে ফোন কেটে দেন প্রবীণ রাজনীতিক তথা অধিকারী পরিবারের সর্বময় কর্তা। বুধবার দুপুর পর্যন্ত কাঁথির ফলাফল নিয়ে অধিকারী পরিবারের অপর নামজাদা রাজনীতিক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কোথাও মুখ খোলেননি। তবে মঙ্গলবার রাতে ‘কাঁথিতে ভোটলুঠ’-এর প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল করেছিলেন শুভেন্দু। আর সৌম্যেন্দু মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে।
শুভেন্দু শেষ টুইট করেছেন ১৫ ঘণ্টা আগে। যেখানে বইমেলায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘মৃত্যুদিন’ ছাপানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ওই টুইটে তিনি ট্যাগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। ‘নিরাশাজনক’ ফলের ব্যাখ্যা নিয়ে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন কাঁথির বিজেপি নেতারাও। বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিত দুপুর পর্যন্ত ফোনে সাড়া দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy