মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়েছে নমুনা সংগ্রহ। নিজস্ব চিত্র
ফের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় শুরু হল সেরো সার্ভিলেন্স। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের তত্ত্বাবধানে করোনা টিকাপ্রাপ্তদের উপর শুরু হয়েছে এই সমীক্ষা। কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড প্রাপকদের নিয়েই এই সমীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন মাইক্রো বায়োলোজি বিভাগের প্রধান পার্থসারথি শতপথী।
করোনার টিকা নেওয়ার পর ভাইরাস কতটা আটকানো সম্ভব, শরীরে অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব কত দিন তা খতিয়ে দেখতেই এই সমীক্ষা। পরে বুস্টার টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না তা-ও দেখা হবে এই সমীক্ষার মাধ্যমে। প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও এই সমীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সামনে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। ওড়িশার বালেশ্বরের ইনস্টিটিউট অফ লাইফ সায়েন্সে বেশ কিছু নমুনাও পাঠানো হবে বিশেষ পরীক্ষার জন্য।
শতপথীর মতে, কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ডের দু’টি করে টিকা যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের উপর চলবে এই সমীক্ষা। দু’ধরনের টিকাপ্রাপ্তদের ৪০০ জন করে মোট ৮০০ জনের উপরে হবে এই সমীক্ষা। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার তিন মাস পরেই নমুনা দেওয়া যাবে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু বলেন, ‘‘গত বছর যখন টিকা আসেনি তখনও অ্যান্টিবডি নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। করোনা আক্রান্ত, তা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা এবং করোনা না হওয়া ব্যক্তিদের উপরে সেই সমীক্ষা হয়েছিল। এ বার যে সমীক্ষা হবে তাতে টিকা নেওয়ার পর মানুষের শরীরে কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে এবং পুষ্টি প্রক্রিয়ার উপর সমীক্ষা চালানো হবে। তিন মাস সময় লাগবে এই পরীক্ষাতে। বুস্টার টিকা কখন দেওয়া উচিত তার খোঁজে এই সমীক্ষা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy