খড়্গপুর আইআইটি। — ফাইল ছবি।
গভীর রাতে খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই ক্যাম্পাসের একটি কমনরুমে রাখা সমস্ত কিছু। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কী করে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে।
শনিবার গভীর রাতে আচমকাই আগুন খড়্গপুর আইআইটির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হলের কমনরুমে। তখন গোটা ক্যাম্পাস ঘুমে আচ্ছন্ন। সেখানে পড়ুয়াদের বেডিং জাতীয় দাহ্য পদার্থ রাখা ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভাতে ছুটে আসে দমকলের ইঞ্জিন। গভীর রাতে আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, গোটা আইআইটি চত্বরই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। প্রথমে খড়্গপুর থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। আগুনের গতিপ্রকৃতি আঁচ করে শালুয়া থেকে আরও একটি দমকলের ইঞ্জিন আনা হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলতে থাকে আগুন নেভানোর কাজ। ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার বামকুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘আইআইটির এলবিএস হলের স্টোর রুমে আগুন লেগেছিল। দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। কোন হতাহতের খবর নেই।’’
কী করে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দমকল আধিকারিকদের একটি অংশের দাবি, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, খড়্গপুর আইআইটির মতো বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে। কারণ, ২০২১ সালেও ক্যাম্পাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। তা ছড়িয়ে পড়েছিল ক্যাম্পাসের বড় অংশে। সেই সময়ও আইআইটির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ব্যতিক্রম হল না এ বারেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy