Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Bail

Jhargram: আদিবাসী নিপীড়ন আইনে ধৃতের জামিন

আদিবাসী নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনের মতো কড়া ধারায় মামলা রুজুর পরেও ধৃত জামিন পেয়ে যাওয়ায় শোরগোল পড়েছে।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২২ ০৭:০২
Share: Save:

প্রতারণা ও আদিবাসী নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনের ধারায় রুজু হয়েছিল মামলা। ধৃতকে অবশ্য শর্তাধীন অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিল আদালত। ধৃত বছর আটাশের অশেষ কল্যার শর্তাধীন অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বৃহস্পতিবার মঞ্জুর করেছেন ঝাড়গ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্লাবন মুখোপাধ্যায়। আদিবাসী নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনের মতো কড়া ধারায় মামলা রুজুর পরেও ধৃত জামিন পেয়ে যাওয়ায় শোরগোল পড়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারের পরে অশেষকে এ দিন আদালতে হাজির করা হয়। অভিযুক্তের আইনজীবী সায়ক ভদ্র সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায়ের কপি দাখিল করে জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আদিবাসী নিপীড়ন প্রতিরোধ আইনের ধারা-সহ অন্যান্য যে সব ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ ৭ বছর সাজার বিধান রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রেফতারের আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১-এ ধারায় নোটিস পাঠিয়ে অভিযুক্তকে তলব করতে বলেছে শীর্ষ আদালত। অথচ তাঁর মক্কেলকে নোটিস না দিয়েই গ্রেফতার করা হয়েছে। নোটিস না দিয়ে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসারকে উপযুক্ত ব্যাখ্যা আদালতকে জানাতে হবে বলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। অথচ অশেষের গ্রেফতারির ফরোয়ার্ডিং রিপোর্টে তদন্তকারী অফিসারের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই বলেই দাবি করেন অভিযুক্তের আইনজীবী।

অশেষকে ৭ দিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ। তিন সরকারি আইনজীবী সেই মতো সওয়াল করেন। তবে সরকারি পক্ষের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। শেষে বিচারক অভিযুক্তের শর্তাধীন অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। সায়ক বলেন, ‘‘জামিনের শর্ত অনুযায়ী সপ্তাহে তিনদিন অশেষকে তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে হবে। আর সে বিনপুর থানা এলাকায় থাকতে পারবেন না।’’ ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার বেলপাহাড়ির এসডিপিও উত্তম গরাঁইন অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

বিনপুরের কানিমহুলি গ্রামের উমা কিস্কু গত মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম সদরের মহকুমাশাসককে লিখিত অভিযোগে জানান, ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে তাঁর প্রয়াত স্বামীর ‘ডেথ বেনিফিট’ বাবদ ২ লক্ষ টাকা পাওয়ার জন্য কৃষি দফতরে আবেদন করার ক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন পাশের জামিরাশুলি গ্রামের যুবক অশেষ কল্যা। গত ৯ জুলাই জামিরাশুলিতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে (কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট) উমাকে নিয়ে যান অশেষ। সেখানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে উমার আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। উমার দাবি, আঙুলের ছাপ নেওয়ার পরে অশেষ জানান, তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। কিন্তু উমা পরে জানতে পারেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ হাজার টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে এবং ১০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপরই মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ করেন উমা।

মহকুমাশাসক উমার অভিযোগপত্রটি বিনপুর থানার আইসির কাছে পাঠিয়ে পদক্ষেপ করতে বলেন। মঙ্গলবারই মামলা রুজু করে পুলিশ। বুধবার অশেষকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিন সন্ধ্যায় আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে অশেষ অবশ্য বলেন, ‘‘আমি নির্দোষ।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bail man
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy