আপাতত বন্ধ রয়েছে নির্মাণ কাজ। নিজস্ব চিত্র
প্রতি বছর বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই পাঁশকুড়া পুরসভার ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয় বন্যা পরিস্থিতি। সমস্যার সমাধানে জানুয়ারি মাসে পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গড় পুরুষোত্তমপুরে কংসাবতী নদীর বাঁধ কেটে স্লুইস গেট তৈরির কাজ শুরু করেছিল সেচ দফতর। কিন্তু লকডাউনের জেরে বন্ধ কাজ। অথচ স্লুইস গেট তৈরির কাজ দ্রুত শেষ না করা গেলে বর্ষায় নদীর কাটা বাঁধ দিয়ে জল ঢুকে প্লাবিত হতে পারে পাঁশকুড়া ব্লক। তাই দ্রুত কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সেচ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পাঁশকুড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কংসাবতীর বাঁধে একটি পুরনো স্লুইস গেট ছিল।সেটি জীর্ণ হয়ে পড়ায় সেচ দফতর প্রায় তিন বছর আগে সেটি বন্ধ করে দেয়। এর জেরে এলাকার জল নিকাশি ভেঙে পড়ে বলে দাবি স্থানীয়দের। সামান্য বৃষ্টিতেই ওয়ার্ডের কিছুটা অংশ ও গোটা ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়তে শুরু করে। এলাকাবাসীর আন্দোলনের জেরে সেচ দফতর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গড় পুরুষোত্তমপুর এলাকায় নতুন একটি স্লুইস তৈরিতে উদ্যোগী হয়। প্রায় দু'কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৩ মিটার দীর্ঘ ও সাড়ে ৯ মিটার চওড়া স্লুইস গেটটি তৈরি শুরু হয় জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। করোনা আতঙ্কে ২৪ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন।যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় স্লুইস গেট তৈরির কাজ। এই মুহূর্তে কাজের জন্য ওই জায়গায় কংসাবতী নদীর বাঁধ কাটা রয়েছে।বর্ষা শুরু হলেই নদী ভরে যাবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, বর্ষা শুরুর আগে কাজ শেষ না হলে নদীর জল ঢুকে যাবে শহরের ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে।
স্থানীয় মুরশেদ মল্লিক বলেন, ‘‘খুবই চিন্তায় আছি। বর্ষার আগে স্লুইস গেট তৈরি না হলে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাঁধে উঠতে হবে।’’ ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব দিকে একটি ফেরিবাঁধ রয়েছে। বাঁধটি বন্যা নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত নয় বলে দাবি। বর্ষার আগে স্লুইস গেট তৈরি না হলে নদীর জল এসে ধাক্কা মারবে ফেরি বাঁধে।ফেরি বাঁধ ভেঙে গেলে পাঁশকুড়া ব্লকের বিরাট অংশের পাশাপাশি তমলুক ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাঁশকুড়া-২ ব্লকের সেচ দফতরের এসডিও অভিনব মজুমদার বলেন, ‘‘আমরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। বর্ষার আগে কাজ শেষ না হলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে।ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি এই কাজগুলির ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি দিয়ে কাজ চালু করার জন্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy