ফাইল চিত্র।
গ্রেফতারের ভয়ে পাঁচ বার বিশেষ আদালতে হাজিরা এড়িয়েছেন, এমনই অভিযোগ তুলেছিল এনআইএ। অবশেষে শুক্রবার কলকাতার বিশেষ আদালতে হাজির হলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো।
আইনজীবী কৌশিক সিংহের সঙ্গে সকাল সোয়া এগারোটা নাগাদ বিশেষ আদালতের বিচারক শুভেন্দু সামন্তের এজলাসে হাজির হন ছত্রধর। লালগড়ের সিপিএম কর্মী খুনে ছত্রধর-সহ ২৭ জন অভিযুক্তকে এদিন আবশ্যিক ভাবে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। ছত্রধর-সহ ২৪ জন হাজির হন। কৌশিক আদালতকে জানান, অসুস্থতার জন্য বনমালী মাহাতো, বরুণ মণ্ডল ও সুকুমার মাহাতো আসতে পারেননি।
ছত্রধর-সহ মূল ৫ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জেরার জন্য বিশেষ আদালেত আবেদন করেছিল এনআইএ। আইনজীবী আদালতে আপত্তি দাখিল করে জানান, ছত্রধররা ওই পুরনো মামলায় ঝাড়গ্রাম আদালত থেকে জামিনে মুক্ত। জামিন খারিজের বিষয়টি বিশেষ আদালতের এক্তিয়ার বহির্ভুত। এনআইএ-এর ওই আবেদনের মান্যতা দেননি বিশেষ আদালতের বিচারক। বিশেষ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছে এনআইএ। ২২ ডিসেম্বর রাজ্য সরকার, এনআইএ ও অভিযুক্তপক্ষকে হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। ১৮ জানুয়ারি শুনানি হবে।
বিশেষ আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এনআইএ-এর আবেদন হাইকোর্টে বিবেচনাধীন থাকায় এ দিন বিশেষ আদালত আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ছত্রধর-সহ অভিযুক্তদের ফের হাজির হতে বলেছে। ছত্রধরের দাবি, ‘‘রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির কারণেই আমাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পুরনো ঘটনায় অভিযুক্ত করে হয়রান করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy