স্যালাইন-কাণ্ড: মৃত মামণি রুইদাসের সদ্যোজাত ফের হাসপাতালে, চার বছরের মেয়ে জানে না, মা আর নেই

আবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হল মৃত মামণি রুইদাসের শিশুসন্তানকে। পেটের সমস্যা নিয়ে মাতৃমা বিল্ডিংয়ের শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছে সে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখন সুস্থ রয়েছে সে। চলতি মাসের শুরুতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মামণি-সহ পাঁচ প্রসূতি। পরে মামণির মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছিল, স্যালাইন নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। মামণির চার বছরের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। সে এখনও জানেই না যে, মা আর নেই।

মামণির মৃত্যুর পরে তাঁর পুত্রকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল পরিবার। কিন্তু বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে আবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসার পরে সে ছাড়াও পায়। এর পরে সোমবার রাতে আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মামণির স্বামী দেবাশিস রুইদাস বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে ছেলেকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম। আবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় চন্দ্রকোনা থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।’’ তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের চার বছরের মেয়ে মায়ের মৃত্যুর বিষয়ে এখনও কিছুই জানে না।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্মের পর থেকে মায়ের দুধ পায়নি শিশুটি। সে কারণে তার শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান তারাপদ ঘোষ বলেন, ‘‘পেটের সমস্যা হয়েছিল শিশুটির। এখন সুস্থ রয়েছে সে। বাড়ির লোককে বোঝানো হচ্ছে, যাতে বাইরের খাবার কম খাওয়ানো যায়।’’

মামণি, রেখা সাউ, মাম্পি সিংহ, মিনারা বিবি, নাসরিন খাতুন— এই পাঁচ প্রসূতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, স্যালাইন নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। এর পরেই স্যালাইনের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিনকে। মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন মিনারা। অসুস্থ হয়ে পড়েছিল মৃত মামণি এবং রেখার দুই সদ্যোজাত। সুস্থ হওয়ার পরে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছিল। সোমবার রাতে আবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হল মামণির শিশুকে।