ইচ্ছা ছিল স্কুলের সরস্বতী পুজো নিজের হাতে করবে। অবশেষে স্কুল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় নবম শ্রেণির ছাত্রীর সেই ইচ্ছাপূরণ হল। খড়্গপুর গ্রামীণের একটি বেসরকারি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী তন্বী চক্রবর্তী। প্রথম বার স্কুলে পুজো করল সে। তন্বী জানায়, স্কুল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়েছে। তার অনেক দিনের ইচ্ছাকেও গুরুত্ব দিয়েছে স্কুল। তন্বী ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। পাশাপাশি, পৌরহিত্য করার ইচ্ছার কথাও জানায় সে।
সব মিলিয়ে এ বারের স্কুলের সরস্বতী পুজোয় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। তন্বী বলে, “ছোট থেকেই পুজোর মন্ত্রোচ্চারণ পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে শিখেছি।” তন্বী বাড়িতে পুজো করে তাই সে স্কুলকে জানিয়েছিল তার ইচ্ছার কথা। তন্বী আরও বলে, “স্কুলের পুরোহিত উপস্থিত ছিলেন। তিনি সহযোগিতা করেছেন। তবে হোম থেকে শুরু করে অঞ্জলি ও পুজোর মন্ত্রপাঠ নিষ্ঠা ভরে করেছি।”
স্কুলের ডিরেক্টর আরণ্যক আচার্য জানান, পুজোর আগে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মিটিং হয়। তখন তন্বীর ইচ্ছার কথা জানতে পেরে তাকে সুযোগ দেওয়া হয়।
তন্বীর মা সঞ্চারী বলেন, “স্কুলে যেতে পারলে ভাল লাগত। তবে মেয়ে বাড়িতে পুজো-অর্চনা করে। এ দিন বাড়িতে সরস্বতী পুজো করেই স্কুলে গিয়েছিল তন্বী।”