শুক্রবার রাতে পটাশপুরের পালপাড়া জোড়া কালী মন্দির এলাকার ঘটনায় দু’পক্ষেরই তিনজন জখম হয়েছেন বলে দাবি। ফাইল চিত্র।
কালী পুজো নিয়েও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল। তা গড়াল সংঘর্ষে। শুক্রবার রাতে পটাশপুরের পালপাড়া জোড়া কালী মন্দির এলাকার ঘটনায় দু’পক্ষেরই তিনজন জখম হয়েছেন বলে দাবি। শেষে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শিব মন্দির এলাকায় একটি ক্লাবে পটাশপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা আহাদ আলি গোষ্ঠীর লোকেরা পুজো করেন। সেখান থেকে ১৫০ মিটার দূরে শতাব্দী প্রাচীন পালপাড়া ও বারুইপুর গ্রাম কমিটিতে ব্লক তৃণমূল সভাপতি পীযূষ পন্ডার অনুগামীদের পুজো হয়। পুজোর চাঁদা তোলা নিয়ে কয়েকদিন ধরে দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পালপাড়া কলেজের সামনে দুই গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে ওই বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়।
ওই সময় জোড়া কালীমন্দির সংলগ্ন মাঠে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসেছিল। অনুষ্ঠান মাঠেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে তুমুল ভাবে। অভিযোগ, বাঁশ-লাঠি নিয়ে চলে মারধর। পথচলতিরাও ওই হামলা থেকে রেহাই পায়নি। তা দেখে অনুষ্ঠানের আসা দর্শকেরা প্রাণ ভয়ে দৌড়ে পালান। পরে ঘটনাস্থলে যায় পটাশপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় তিন আহতকে স্থানীয় গোনাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
তৃণমূল অবশ্য এই সংঘর্ষকে কোন্দল বলে মানছে না। তাদের দাবি, এটি নিছকই ক্লাবের ঝামেলা। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আহাদ আলি বলেন, ‘‘এতে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল বা রাজনীতি নেই। দুটি ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। কিছু সুবিধাবাদী লোক নিজের স্বার্থে ঝামেলা তৈরি করেছিল।’’ আর ব্লক সভাপতি পীযূষের দাবি, ‘‘পুজো নিয়ে গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দার মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।’’ পটাশপুর থানার পুলিশ জানাচ্ছে, পুজো ঘিরে দুই ক্লাবের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy